ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

পুতিনের মাধ্যমে ইরান-আমেরিকা পরমাণু আলোচনা নিয়ে নতুন সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার মধ্যে একটি নতুন মোড় আসতে যাচ্ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা পরমাণু আলোচনা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মাসে ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে এক ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ট্রাম্প রাশিয়াকে অনুরোধ করেন যেন তারা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। রাশিয়া এ প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং পুতিনের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আছি।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই মধ্যস্থতা সফল হলে ইরান-আমেরিকা পরমাণু চুক্তির পুনর্নবীকরণে সহায়তা করতে পারে, যা দীর্ঘদিন ধরেই স্থবির হয়ে ছিল। ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয়টি বৃহৎ শক্তির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আমেরিকা এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।

এদিকে, রাশিয়ার মধ্যস্থতার প্রস্তাবের পর বিশ্ববাসী উন্মুখ হয়ে রয়েছে, কারণ এটি শুধু পরমাণু চুক্তিরই নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। ইরান-আমেরিকা আলোচনা সফল হলে এর প্রভাব পুরো বিশ্ব কূটনীতিতে পড়তে পারে এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।

তবে, এই পদক্ষেপ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে কিছু সন্দেহও রয়েছে। ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, এসব বিষয়ের প্রভাব পড়তে পারে এই আলোচনায়। তবে সব দিক বিবেচনায়, এটি একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা গোটা বিশ্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুতিনের মাধ্যমে ইরান-আমেরিকা পরমাণু আলোচনা নিয়ে নতুন সম্ভাবনা

আপডেট সময় ১২:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার মধ্যে একটি নতুন মোড় আসতে যাচ্ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা পরমাণু আলোচনা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মাসে ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে এক ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ট্রাম্প রাশিয়াকে অনুরোধ করেন যেন তারা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। রাশিয়া এ প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং পুতিনের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আছি।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই মধ্যস্থতা সফল হলে ইরান-আমেরিকা পরমাণু চুক্তির পুনর্নবীকরণে সহায়তা করতে পারে, যা দীর্ঘদিন ধরেই স্থবির হয়ে ছিল। ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয়টি বৃহৎ শক্তির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আমেরিকা এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।

এদিকে, রাশিয়ার মধ্যস্থতার প্রস্তাবের পর বিশ্ববাসী উন্মুখ হয়ে রয়েছে, কারণ এটি শুধু পরমাণু চুক্তিরই নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। ইরান-আমেরিকা আলোচনা সফল হলে এর প্রভাব পুরো বিশ্ব কূটনীতিতে পড়তে পারে এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।

তবে, এই পদক্ষেপ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে কিছু সন্দেহও রয়েছে। ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, এসব বিষয়ের প্রভাব পড়তে পারে এই আলোচনায়। তবে সব দিক বিবেচনায়, এটি একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা গোটা বিশ্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।