ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রিসবেনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’ এর আগমন: সতর্কতায় স্তব্ধ শহর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, যুক্তরাজ্যে চাঞ্চল্য যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু সম্পদের হিসাব না দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কুমিল্লার গোমতী চরের মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের রেকর্ড, যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড – সেঞ্চুরির পরও হার, ব্যর্থ মিলারের লড়াই দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় ভুলবশত বোমা ফেলে সাতজন আহত: জরুরি উদ্ধার কাজ চলছে

পুতিনের মাধ্যমে ইরান-আমেরিকা পরমাণু আলোচনা নিয়ে নতুন সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার মধ্যে একটি নতুন মোড় আসতে যাচ্ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা পরমাণু আলোচনা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মাসে ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে এক ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ট্রাম্প রাশিয়াকে অনুরোধ করেন যেন তারা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। রাশিয়া এ প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং পুতিনের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আছি।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই মধ্যস্থতা সফল হলে ইরান-আমেরিকা পরমাণু চুক্তির পুনর্নবীকরণে সহায়তা করতে পারে, যা দীর্ঘদিন ধরেই স্থবির হয়ে ছিল। ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয়টি বৃহৎ শক্তির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আমেরিকা এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।

এদিকে, রাশিয়ার মধ্যস্থতার প্রস্তাবের পর বিশ্ববাসী উন্মুখ হয়ে রয়েছে, কারণ এটি শুধু পরমাণু চুক্তিরই নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। ইরান-আমেরিকা আলোচনা সফল হলে এর প্রভাব পুরো বিশ্ব কূটনীতিতে পড়তে পারে এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।

তবে, এই পদক্ষেপ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে কিছু সন্দেহও রয়েছে। ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, এসব বিষয়ের প্রভাব পড়তে পারে এই আলোচনায়। তবে সব দিক বিবেচনায়, এটি একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা গোটা বিশ্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

পুতিনের মাধ্যমে ইরান-আমেরিকা পরমাণু আলোচনা নিয়ে নতুন সম্ভাবনা

আপডেট সময় ১২:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার মধ্যে একটি নতুন মোড় আসতে যাচ্ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা পরমাণু আলোচনা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মাসে ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে এক ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ট্রাম্প রাশিয়াকে অনুরোধ করেন যেন তারা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। রাশিয়া এ প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং পুতিনের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আছি।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই মধ্যস্থতা সফল হলে ইরান-আমেরিকা পরমাণু চুক্তির পুনর্নবীকরণে সহায়তা করতে পারে, যা দীর্ঘদিন ধরেই স্থবির হয়ে ছিল। ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয়টি বৃহৎ শক্তির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আমেরিকা এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।

এদিকে, রাশিয়ার মধ্যস্থতার প্রস্তাবের পর বিশ্ববাসী উন্মুখ হয়ে রয়েছে, কারণ এটি শুধু পরমাণু চুক্তিরই নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। ইরান-আমেরিকা আলোচনা সফল হলে এর প্রভাব পুরো বিশ্ব কূটনীতিতে পড়তে পারে এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।

তবে, এই পদক্ষেপ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে কিছু সন্দেহও রয়েছে। ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, এসব বিষয়ের প্রভাব পড়তে পারে এই আলোচনায়। তবে সব দিক বিবেচনায়, এটি একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা গোটা বিশ্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।