ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ট্রাম্প প্রশাসনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা, পারমাণবিক নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপের পক্ষে: কিম জং উনের বোন লাখাইয়ে টমটমে যাত্রী ওঠা-নামা নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত বিশ্ববাজারে উত্তেজনা: শুল্ক লাঘবের উত্তরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ মেক্সিকো, চীন ও কানাডার রোজার সময় সারাদিন এনার্জি পেতে গ্রহণীয় খাবার তালিকা ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ, রাজা চার্লসের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকার কানাডার পাল্টা পদক্ষেপ: মার্কিন পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রুডোর ইউক্রেনের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের ঘটনা, তদন্ত শুরু ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি, দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ঊর্ধ্বগতি, বৈদেশিক লেনদেনে নতুন গতি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় এবছর ইইউ’র ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগণের সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ বছর ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে, মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার মানুষের জন্য এই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, যাতে মানবিক সংকটের তীব্রতা কমানো যায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার হাজা লাহবিব সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য এই আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন। তবে, ইইউ কমিশনার মন্তব্য করেন যে, সহায়তার পরিমাণ গত বছরের অনুদানের তুলনায় বেশি হলেও রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য তা যথেষ্ট নয়।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা, এবং বছরের পর বছর ধরে চলছে। তবে, এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকটের গুরুত্ব বোঝাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

ইইউ কমিশনার শান্তির প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই সংকটের একমাত্র সমাধান শান্তি। আমাদের সবাইকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এবং ভুল তথ্য (ডিসইনফরমেশন) ছড়ানোও এক ধরনের দুর্যোগ।’

এছাড়া, বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জলবিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনা, জ্বালানি সংযোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসঙ্গে বলেন, ‘নেপাল ও ভুটান আমাদের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিক্রিতে আগ্রহী, যা বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে।’

ইইউ কমিশনার বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরও সহযোগিতার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় এবছর ইইউ’র ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা

আপডেট সময় ১১:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগণের সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ বছর ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে, মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার মানুষের জন্য এই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, যাতে মানবিক সংকটের তীব্রতা কমানো যায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার হাজা লাহবিব সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য এই আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন। তবে, ইইউ কমিশনার মন্তব্য করেন যে, সহায়তার পরিমাণ গত বছরের অনুদানের তুলনায় বেশি হলেও রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য তা যথেষ্ট নয়।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা, এবং বছরের পর বছর ধরে চলছে। তবে, এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকটের গুরুত্ব বোঝাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

ইইউ কমিশনার শান্তির প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই সংকটের একমাত্র সমাধান শান্তি। আমাদের সবাইকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এবং ভুল তথ্য (ডিসইনফরমেশন) ছড়ানোও এক ধরনের দুর্যোগ।’

এছাড়া, বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জলবিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনা, জ্বালানি সংযোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসঙ্গে বলেন, ‘নেপাল ও ভুটান আমাদের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিক্রিতে আগ্রহী, যা বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে।’

ইইউ কমিশনার বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরও সহযোগিতার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত।’