ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তা বন্ধের হুমকি, সংকটে ইউক্রেন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

ওভাল অফিসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের পর নতুন করে বিপদের মুখে পড়তে পারে ইউক্রেন। মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সামরিক, প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহায়তা সীমিত বা সম্পূর্ণ বন্ধ করার বিষয়ে ওয়াশিংটন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে ইউক্রেনের জন্য উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হতে পারে। এমনকি ড্রোন উৎপাদন সহায়তা বাতিল এবং ইউক্রেনে স্থাপিত মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের জন্য এটি হবে একটি বড় ধাক্কা। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে থাকা দেশটি পশ্চিমা শক্তির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হ্রাস পেলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।

এছাড়াও, ইউক্রেনীয় শরণার্থী ও বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তাকেও আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য ইতোমধ্যেই এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন পুনরায় ক্ষমতায় ফিরলে নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বরাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইউক্রেন এক কঠিন সময় পার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হ্রাস পেলে যুদ্ধের সামগ্রিক গতিপথ বদলে যেতে পারে। ইউরোপীয় মিত্ররা যদি এই মুহূর্তে ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ায়, তবে দেশটির ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইউক্রেন কীভাবে এই নতুন সংকট মোকাবিলা করবে? পশ্চিমা শক্তিগুলোর অবস্থানই ঠিক করে দেবে যে ইউক্রেন তার প্রতিরক্ষা কৌশলে কতটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তা বন্ধের হুমকি, সংকটে ইউক্রেন

আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

ওভাল অফিসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের পর নতুন করে বিপদের মুখে পড়তে পারে ইউক্রেন। মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সামরিক, প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহায়তা সীমিত বা সম্পূর্ণ বন্ধ করার বিষয়ে ওয়াশিংটন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে ইউক্রেনের জন্য উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হতে পারে। এমনকি ড্রোন উৎপাদন সহায়তা বাতিল এবং ইউক্রেনে স্থাপিত মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের জন্য এটি হবে একটি বড় ধাক্কা। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে থাকা দেশটি পশ্চিমা শক্তির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হ্রাস পেলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।

এছাড়াও, ইউক্রেনীয় শরণার্থী ও বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তাকেও আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য ইতোমধ্যেই এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন পুনরায় ক্ষমতায় ফিরলে নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বরাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইউক্রেন এক কঠিন সময় পার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হ্রাস পেলে যুদ্ধের সামগ্রিক গতিপথ বদলে যেতে পারে। ইউরোপীয় মিত্ররা যদি এই মুহূর্তে ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ায়, তবে দেশটির ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইউক্রেন কীভাবে এই নতুন সংকট মোকাবিলা করবে? পশ্চিমা শক্তিগুলোর অবস্থানই ঠিক করে দেবে যে ইউক্রেন তার প্রতিরক্ষা কৌশলে কতটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।