ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নতুন সতর্কতা: জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করলেন ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 53

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত যেসব অবৈধ অভিবাসী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধিত হননি, তাদের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা উল্লেখযোগ্য জরিমানা, সম্ভাব্য কারাদণ্ড কিংবা দুটোরই মুখোমুখি হতে পারেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র জানান, ‘ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করবে। কোনো আইন বেছে বেছে প্রয়োগ করা হবে না। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আমাদের মাতৃভূমি এবং দেশের সব নাগরিকের সুরক্ষা, এবং জানাটা যে, কে আমাদের দেশে অবস্থান করছেন।’

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১৪ বছরের বেশি বয়সী যেসব অভিবাসী মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু নিবন্ধিত হননি কিংবা আঙুলের ছাপ দেননি এবং যাঁরা ৩০ দিন বা তার বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের নিবন্ধন এবং আঙুলের ছাপ প্রদান বাধ্যতামূলক।

যখন অভিবাসী নিবন্ধন করবেন এবং আঙুলের ছাপ দেবেন, তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ একটি প্রমাণপত্র সরবরাহ করবে, যা ১৮ বছরের বেশি বয়সী অভিবাসীদের সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে অভিবাসীদের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন সরকারের সিবিপি ওয়ান এন্ট্রি কর্মসূচি বন্ধ করারও চেষ্টা করছে, যা লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিল।

এটি দেশের অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং কঠোর আইন প্রয়োগের সংকেত দেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নতুন সতর্কতা: জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় ০১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত যেসব অবৈধ অভিবাসী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধিত হননি, তাদের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা উল্লেখযোগ্য জরিমানা, সম্ভাব্য কারাদণ্ড কিংবা দুটোরই মুখোমুখি হতে পারেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র জানান, ‘ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করবে। কোনো আইন বেছে বেছে প্রয়োগ করা হবে না। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আমাদের মাতৃভূমি এবং দেশের সব নাগরিকের সুরক্ষা, এবং জানাটা যে, কে আমাদের দেশে অবস্থান করছেন।’

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১৪ বছরের বেশি বয়সী যেসব অভিবাসী মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু নিবন্ধিত হননি কিংবা আঙুলের ছাপ দেননি এবং যাঁরা ৩০ দিন বা তার বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের নিবন্ধন এবং আঙুলের ছাপ প্রদান বাধ্যতামূলক।

যখন অভিবাসী নিবন্ধন করবেন এবং আঙুলের ছাপ দেবেন, তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ একটি প্রমাণপত্র সরবরাহ করবে, যা ১৮ বছরের বেশি বয়সী অভিবাসীদের সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে অভিবাসীদের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন সরকারের সিবিপি ওয়ান এন্ট্রি কর্মসূচি বন্ধ করারও চেষ্টা করছে, যা লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিল।

এটি দেশের অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং কঠোর আইন প্রয়োগের সংকেত দেয়।