ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান করলো ইরান গা/জা/য় ক্যাফে, স্কুল ও হাসপাতালে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৯৫ সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নতুন সতর্কতা: জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করলেন ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত যেসব অবৈধ অভিবাসী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধিত হননি, তাদের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা উল্লেখযোগ্য জরিমানা, সম্ভাব্য কারাদণ্ড কিংবা দুটোরই মুখোমুখি হতে পারেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র জানান, ‘ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করবে। কোনো আইন বেছে বেছে প্রয়োগ করা হবে না। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আমাদের মাতৃভূমি এবং দেশের সব নাগরিকের সুরক্ষা, এবং জানাটা যে, কে আমাদের দেশে অবস্থান করছেন।’

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১৪ বছরের বেশি বয়সী যেসব অভিবাসী মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু নিবন্ধিত হননি কিংবা আঙুলের ছাপ দেননি এবং যাঁরা ৩০ দিন বা তার বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের নিবন্ধন এবং আঙুলের ছাপ প্রদান বাধ্যতামূলক।

যখন অভিবাসী নিবন্ধন করবেন এবং আঙুলের ছাপ দেবেন, তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ একটি প্রমাণপত্র সরবরাহ করবে, যা ১৮ বছরের বেশি বয়সী অভিবাসীদের সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে অভিবাসীদের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন সরকারের সিবিপি ওয়ান এন্ট্রি কর্মসূচি বন্ধ করারও চেষ্টা করছে, যা লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিল।

এটি দেশের অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং কঠোর আইন প্রয়োগের সংকেত দেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নতুন সতর্কতা: জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় ০১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত যেসব অবৈধ অভিবাসী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধিত হননি, তাদের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা উল্লেখযোগ্য জরিমানা, সম্ভাব্য কারাদণ্ড কিংবা দুটোরই মুখোমুখি হতে পারেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র জানান, ‘ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করবে। কোনো আইন বেছে বেছে প্রয়োগ করা হবে না। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আমাদের মাতৃভূমি এবং দেশের সব নাগরিকের সুরক্ষা, এবং জানাটা যে, কে আমাদের দেশে অবস্থান করছেন।’

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১৪ বছরের বেশি বয়সী যেসব অভিবাসী মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু নিবন্ধিত হননি কিংবা আঙুলের ছাপ দেননি এবং যাঁরা ৩০ দিন বা তার বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের নিবন্ধন এবং আঙুলের ছাপ প্রদান বাধ্যতামূলক।

যখন অভিবাসী নিবন্ধন করবেন এবং আঙুলের ছাপ দেবেন, তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ একটি প্রমাণপত্র সরবরাহ করবে, যা ১৮ বছরের বেশি বয়সী অভিবাসীদের সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে অভিবাসীদের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন সরকারের সিবিপি ওয়ান এন্ট্রি কর্মসূচি বন্ধ করারও চেষ্টা করছে, যা লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিল।

এটি দেশের অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং কঠোর আইন প্রয়োগের সংকেত দেয়।