ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ছাড়া যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি নয়: হামাস

- আপডেট সময় ০৫:২৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 33
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে কোনো আলোচনা হবে না বলে সাফ জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার নেতা বাসেম নাঈম রোববার এ কথা বলেন।
এর আগে গত শনিবার ছয় ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। চুক্তি অনুযায়ী, এর বিনিময়ে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরায়েল এখনো তাদের ছেড়ে দেয়নি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন, মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের “অপমানজনকভাবে” হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই তারা আর কোনো ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়বে না, যতক্ষণ না জিম্মিদের মুক্তি “সম্মানজনকভাবে” হয়। যুক্তরাষ্ট্রও এই অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস নেতা বাসেম নাঈম বলেছেন, “৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরেই মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে।” তিনি আরও জানান, “৬ ইসরায়েলি জিম্মি এবং ৪ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু চারটি মরদেহ ও ছয় জীবিত জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরও ইসরায়েল বন্দিদের মুক্তি দেয়নি।”
নাঈম বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত যেন যথাযথভাবে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা রাখতে হবে। বর্তমানে চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে। এই সময়ের মধ্যে হামাস মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, আর ইসরায়েল ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ ছিল।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, ইসরায়েলের অবস্থানের কারণে তা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ১৬ মাস পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকে চুক্তি অনুযায়ী হামাস ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।