ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া তাসমান সাগরে চীনের সামরিক মহড়া, উড়োজাহাজের রুট পরিবর্তন ক্রিপ্টো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হ্যাক: Bybit থেকে উধাও ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার! রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ পেরুর শপিং সেন্টারে ফুড কোর্টের ছাদ ধসে নিহত ৩, আহত ৭৪ সুনামগঞ্জে শিরনি নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ, ৩০ জন আহত পরিবেশ রক্ষাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সুযোগ পেলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিএনপি: তারেক রহমান তেঁতুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও চেনার উপায় ডিপিএলে ২০২৫ মৌসুমে নাম তুললেন সাকিব, তবে কি দেশে ফেরার ইঙ্গিত?

ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ইরানের সামরিক বাহিনী আজ থেকে বিশাল পরিসরে সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো ‘নতুন প্রজন্মের স্মার্ট অস্ত্র’ প্রদর্শন করা হবে। দেশটির সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর যৌথ এই মহড়া ইরানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার হাবিবোল্লাহ সাইয়ারি।

‘Zolfaghar 1403’ নামের এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে মাকরান উপকূল, ওমান সাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে। এতে উন্নত প্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্রের লাইভ-ফায়ার পরীক্ষা করা হবে। কমান্ডার সাইয়ারি জানিয়েছেন, স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র থেকে আসা যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করাই এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়া শুরু হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে দ্রুত একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি দেখতে চান। তবে চুক্তি না হলে ইসরায়েল ইরানের ওপর বড় ধরনের সামরিক হামলা চালাতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ সংলাপে বসতে প্রস্তুত, তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। ইরানের এই সামরিক মহড়াকে বিশেষজ্ঞরা একটি শক্ত বার্তা হিসেবে দেখছেন, যা আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বকেও সতর্ক করবে।

এই মহড়ায় অত্যাধুনিক ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও নৌ প্রতিরক্ষার নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই অস্ত্রগুলো প্রতিরক্ষাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করে তুলবে।

এই সামরিক প্রদর্শনী ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার মধ্যে ইরানের এই মহড়া কতটা কৌশলগত প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ইরানের সামরিক বাহিনী আজ থেকে বিশাল পরিসরে সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো ‘নতুন প্রজন্মের স্মার্ট অস্ত্র’ প্রদর্শন করা হবে। দেশটির সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর যৌথ এই মহড়া ইরানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার হাবিবোল্লাহ সাইয়ারি।

‘Zolfaghar 1403’ নামের এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে মাকরান উপকূল, ওমান সাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে। এতে উন্নত প্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্রের লাইভ-ফায়ার পরীক্ষা করা হবে। কমান্ডার সাইয়ারি জানিয়েছেন, স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র থেকে আসা যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করাই এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়া শুরু হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে দ্রুত একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি দেখতে চান। তবে চুক্তি না হলে ইসরায়েল ইরানের ওপর বড় ধরনের সামরিক হামলা চালাতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ সংলাপে বসতে প্রস্তুত, তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। ইরানের এই সামরিক মহড়াকে বিশেষজ্ঞরা একটি শক্ত বার্তা হিসেবে দেখছেন, যা আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বকেও সতর্ক করবে।

এই মহড়ায় অত্যাধুনিক ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও নৌ প্রতিরক্ষার নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই অস্ত্রগুলো প্রতিরক্ষাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করে তুলবে।

এই সামরিক প্রদর্শনী ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার মধ্যে ইরানের এই মহড়া কতটা কৌশলগত প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।