রোহিঙ্গা সংকট: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির অবনতি, চরম সংকট ও অনিশ্চয়তা
সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি, ভূ-কৌশলগত প্রভাব এবং অর্থায়ন সংকটের কারণে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। মানবিক সহায়তা সংকোচনের ফলে কক্সবাজারে অবস্থানরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার সুপেয় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই উদ্বেগ প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় টেকসই ওয়াশ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে মতবিনিময় হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল হ্রাসের ঘোষণা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। সীমিত সম্পদের মধ্যে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই এই সংকটের টেকসই সমাধান। তবে বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পের অনেক রোহিঙ্গা কর্মসংস্থানহীন থাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে।’
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট ও মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা কেবল বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।’