ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফুটবলার হিসেবে রোনালদোর নতুন রেকর্ড পাঁচ বছরে ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে পাকিস্তান প্রকৌশল খাতে বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ ইসিতে সীমানা শুনানির সময় হাতাহাতি শ্রীবরদীতে জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩ টি মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা প্রসংশায় ভাসছেন নওগাঁ রাণীনগর অর্গানাইজেশনের তরুণরা পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হলো ১৯ হাজার মানুষ চীনের সাইবার যুদ্ধে অগ্রগতি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিপর্যস্ত সিআইএ-র সিনিয়র রাশিয়া বিশেষজ্ঞ বরখাস্ত ইসরাইলের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় বার্সেলোনা মেট্রো টেন্ডার থেকে বাদ পড়ল ফরাসি কোম্পানি

চীনের সাইবার যুদ্ধে অগ্রগতি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিপর্যস্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

 

চীন এখন সাইবার জগতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। তাদের রাষ্ট্রনির্ভর কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতনির্ভর বিচ্ছিন্ন ব্যবস্থাকে হারিয়ে দিচ্ছে।
এর ফলে মার্কিন অবকাঠামো ভয়াবহ সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে।

🔸 চীনের সাইবার দুর্গ

চীনের “গ্রেট ফায়ারওয়াল” নামক সিস্টেম শুধু অনলাইন কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং সাইবার নিরাপত্তা ঢাল হিসেবেও কাজ করছে।

এটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বা নেটওয়ার্কে হামলার উদ্দেশ্যে তৈরি ক্ষতিকর সফটওয়্যার ঢোকার আগেই আটকে দেয়।

রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের কারণে তাৎক্ষণিক নজরদারি সম্ভব হয় এবং বিদেশি হ্যাকারদের কার্যক্রম প্রায়ই ব্যর্থ হয়।

🔸 মার্কিন দুর্বল দিকগুলো

যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ, টেলিকমসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল।
এদের অনেকেই পুরনো সফটওয়্যার বা দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। আবার গোপনীয়তা রক্ষার আইন সরকারকে সরাসরি তত্ত্বাবধান থেকে বিরত রাখে—এ সুযোগই হ্যাকাররা সহজে কাজে লাগায়।

🔸 “সল্ট টাইফুন” হামলা

তিন বছর আগে চীনা হ্যাকারদের সাথে যুক্ত “সল্ট টাইফুন” টিম যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম খাতে বড় ধরনের হামলা চালায়।
এসময় তারা দুর্বল সাইবার টুলস ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার স্থাপন করে, যার মাধ্যমে ফোন কল নজরদারি ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের গতিবিধি অনুসরণ করা হয়।

🔸 চীনের সাইবার অস্ত্রাগার

চীন “অ্যাকটিভ ডিফেন্স” কৌশল গ্রহণ করেছে। মার্কিন জ্বালানি, পাইপলাইন ও পরিবহন ব্যবস্থায় আগে থেকেই ম্যালওয়্যার স্থাপন করা হয়েছে।
তাই প্রয়োজনে ব্ল্যাকআউট, সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা, এমনকি তাইওয়ান ইস্যুতে কৌশলগত সুবিধা নেওয়া সম্ভব—যুদ্ধ ছাড়াই।

🔸 মার্কিন দুর্বল প্রতিক্রিয়া

রাশিয়া ও ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের পানী সরবরাহ ব্যবস্থা ও হাসপাতালগুলোতে সাইবার হামলা চালিয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইউটিলিটি খাতের জন্য নতুন সাইবার নিয়ম চালু করেছে, তবে তা চীনের রিয়েল-টাইম প্রতিরক্ষার সমতুল্য নয়।

🔸 ব্যবধান

চীনের রাষ্ট্রীয় সিস্টেম একই সাথে সাইবার প্রতিরক্ষা ও আক্রমণে অদ্বিতীয় শক্তি এনে দিয়েছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নির্ভরশীল মডেল ব্যর্থ প্রমাণিত হচ্ছে।

শক্তিশালী এআই ব্যবহার ও আক্রমণাত্মক সাইবার সক্ষমতা গড়ে না তুললে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক প্রভাব দুই দিকেই পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের সাইবার যুদ্ধে অগ্রগতি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিপর্যস্ত

আপডেট সময় ০৩:৩০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

 

 

চীন এখন সাইবার জগতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। তাদের রাষ্ট্রনির্ভর কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতনির্ভর বিচ্ছিন্ন ব্যবস্থাকে হারিয়ে দিচ্ছে।
এর ফলে মার্কিন অবকাঠামো ভয়াবহ সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে।

🔸 চীনের সাইবার দুর্গ

চীনের “গ্রেট ফায়ারওয়াল” নামক সিস্টেম শুধু অনলাইন কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং সাইবার নিরাপত্তা ঢাল হিসেবেও কাজ করছে।

এটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বা নেটওয়ার্কে হামলার উদ্দেশ্যে তৈরি ক্ষতিকর সফটওয়্যার ঢোকার আগেই আটকে দেয়।

রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের কারণে তাৎক্ষণিক নজরদারি সম্ভব হয় এবং বিদেশি হ্যাকারদের কার্যক্রম প্রায়ই ব্যর্থ হয়।

🔸 মার্কিন দুর্বল দিকগুলো

যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ, টেলিকমসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল।
এদের অনেকেই পুরনো সফটওয়্যার বা দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। আবার গোপনীয়তা রক্ষার আইন সরকারকে সরাসরি তত্ত্বাবধান থেকে বিরত রাখে—এ সুযোগই হ্যাকাররা সহজে কাজে লাগায়।

🔸 “সল্ট টাইফুন” হামলা

তিন বছর আগে চীনা হ্যাকারদের সাথে যুক্ত “সল্ট টাইফুন” টিম যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম খাতে বড় ধরনের হামলা চালায়।
এসময় তারা দুর্বল সাইবার টুলস ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার স্থাপন করে, যার মাধ্যমে ফোন কল নজরদারি ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের গতিবিধি অনুসরণ করা হয়।

🔸 চীনের সাইবার অস্ত্রাগার

চীন “অ্যাকটিভ ডিফেন্স” কৌশল গ্রহণ করেছে। মার্কিন জ্বালানি, পাইপলাইন ও পরিবহন ব্যবস্থায় আগে থেকেই ম্যালওয়্যার স্থাপন করা হয়েছে।
তাই প্রয়োজনে ব্ল্যাকআউট, সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা, এমনকি তাইওয়ান ইস্যুতে কৌশলগত সুবিধা নেওয়া সম্ভব—যুদ্ধ ছাড়াই।

🔸 মার্কিন দুর্বল প্রতিক্রিয়া

রাশিয়া ও ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের পানী সরবরাহ ব্যবস্থা ও হাসপাতালগুলোতে সাইবার হামলা চালিয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইউটিলিটি খাতের জন্য নতুন সাইবার নিয়ম চালু করেছে, তবে তা চীনের রিয়েল-টাইম প্রতিরক্ষার সমতুল্য নয়।

🔸 ব্যবধান

চীনের রাষ্ট্রীয় সিস্টেম একই সাথে সাইবার প্রতিরক্ষা ও আক্রমণে অদ্বিতীয় শক্তি এনে দিয়েছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নির্ভরশীল মডেল ব্যর্থ প্রমাণিত হচ্ছে।

শক্তিশালী এআই ব্যবহার ও আক্রমণাত্মক সাইবার সক্ষমতা গড়ে না তুললে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক প্রভাব দুই দিকেই পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।