চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে?

- আপডেট সময় ১২:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
- / 3
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান প্রস্তুতকারক কোম্যাক (COMAC) একটি উচ্চাভিলাষী দূরপাল্লার টুইনজেট সুপারসনিক জেটলাইনার তৈরির কাজ শুরু করেছে। যা গত শতাব্দীর অগ্রগামী সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমানগুলোকে প্রায় সব দিক থেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সুপারসনিক কনকর্ড বিমানগুলোর দুর্ঘটনার পর এ ধরণের বিমান এখন আর বিশ্বে নাই।
কোম্যাকের প্রকৌশলীরা ‘অ্যাক্টা অ্যারোনটিকা সিনিকা’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এই নতুন বিমানের বিস্তারিত নকশা তুলে ধরেছেন। **
বিমানটির পরিকল্পিত বৈশিষ্ট্য: –
গতি: ঘণ্টায় প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার গতিতে (ম্যাক ১.৬) উড়বে, যা ভ্রমণের সময়কে অর্ধেকে নামিয়ে আনবে। যেমন, বেইজিং-মস্কো ~৩ ঘণ্টায়, শাংহাই-লস এঞ্জেলস ~৫ ঘণ্টায়।
পরিসর: ১১,০০০ কিলোমিটার, যা কনকর্ডের ৭,২০০ কিমি এবং তুপোলেভ টিউ-১৪৪-এর ৬,৫০০ কিমি রেঞ্জকে ছাড়িয়ে যাযবে।
সর্ব নিম্ন শব্দ : সোনিক বুম ৮৩.৯ পিএলডিবি (কনকর্ডের তুলনায় ৯৫% কম), যা একটি হেয়ারড্রায়ারের শব্দের সমান। এটি সম্ভব হবে ‘রিভার্স-ক্যাম্বার’ ফিউজলেজ, সুচের মতো নাক এবং ইঞ্জিনের কাছে বিশেষ ডিজাইনের মাধ্যমে।
আগের সুপারসনিক বিমানগুলো উড়ে গেলে বিমানবন্দরের আশপাশের সব জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যেত শব্দের তীব্রতায়
যাত্রী ধারণক্ষমতা: ২৮-৪৮ জন, কনকর্ড (১২৮) বা টিউ-১৪৪ (১৪০) এর তুলনায় বেশি প্রিমিয়াম ও ছোট।
এআই প্রযুক্তি: উচ্চ গতিতে স্থিতিশীলতার জন্য এআই-চালিত ফ্লাই-বাই-ওয়্যার সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাইডস্লিপ কোণ সামঞ্জস্য করবে।
জ্বালানি ব্যবস্থা: ৪২ টন জ্বালানি ৭টি ট্যাঙ্কের মধ্যে ভাগ করে ভারসাম্য বজায় রাখবে ।
নির্মাণ উপকরণ: টাইটানিয়াম অ্যালয় ও কার্বন কম্পোজিট ব্যবহার, অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় ৩০% হালকা এবং উচ্চ তাপ সহনশীল।
কবে দেখা যাবে?
কোম্যাক পরিকল্পনা করছে ২০৪৯ সালে, চীন গণপ্রজাতন্ত্রের ১০০তম বার্ষিকীতে এই বিমান উদ্বোধন করতে, এবং ২১শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বছরে ৪৫ মিলিয়ন যাত্রী বহনের লক্ষ্য রাখছে।