চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব

- আপডেট সময় ০৭:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
- / 3
চীন তার সর্বাধুনিক বিমান নজরদারি ও আক্রমণক্ষমতা নিয়ে হাজির হয়েছে—‘KJ-3000’। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক বিস্তারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
কেন এই বিমান বিশেষ?
এর দুইটি ব্যাক-টু-ব্যাক রাডার একসঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজ দেয়, এবং ছোট ও দূরের লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে পারে, এমনকি স্টেলথ ফাইটার বা ড্রোনও বাদ যায় না।
Y-20 কার্গো বিমানের উপর ভিত্তি করে বানানো, এটি ৮,০০০ কিমি পর্যন্ত উড়তে পারে ১৩ কিমি উচ্চতায়—যা তার রাডারের জন্য আদর্শ উচ্চতা।
পেছনের ফিউজিলাজে থাকা আয়তাকার ফেয়ারিংগুলোতে রয়েছে ডুয়াল-ব্যান্ড AESA অ্যান্টেনা, যা পাশে থাকা লক্ষ্যবস্তুও নির্ভুলভাবে ধরতে সক্ষম।
নাক, লেজ ও দেহের বিভিন্ন অংশে থাকা সেন্সরগুলো যুক্ত করে আরও উন্নত সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স।
ককপিটের ওপরে রিফুয়েলিং প্রোব তাকে দীর্ঘক্ষণ আকাশে থাকতে সাহায্য করে—অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে নজরদারি চালানো সম্ভব।
এটি শুধু রাডার নয়, বরং একটি মোবাইল ‘ইন্টেলিজেন্স হাব’
KJ-3000 শুধু নজরদারিই করে না, এটি একযোগে যুদ্ধ-পরিকল্পনা, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এবং স্ট্রাইক ম্যানেজমেন্ট করে।
২০২৫ সালের এক মহড়ায় চীনের টাইপ ০৫৫ ডেস্ট্রয়ার থেকে চালানো আক্রমণকে KJ-3000 মাঝপথেই গাইড করে, যা আগাম আঘাতের নিখুঁত হবার হার বাড়িয়ে দেয়।
এটি শত শত কিমি দূর থেকেও এয়ার ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার অপারেশন পরিচালনায় সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কী বার্তা?
পেন্টাগনের ২০২৪ সালের “চায়না মিলিটারি পাওয়ার রিপোর্ট” অনুযায়ী, বর্তমানে চীনের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি AEW&C বিমান রয়েছে। এর মাধ্যমে চীন স্পষ্টভাবে ইস্ট ও সাউথ চায়না সি, ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিকসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোতে প্রভাব বিস্তার করছে।