ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়াল সরকার গাজার পানির লাইনে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ৬ শিশুসহ নিহত ১০ বাগেরহাটে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক সুন্দরবনে টহল দলের বনকর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা, আহত ২ পীরগঞ্জে বজ্রঘাতে কৃষকের মৃত্যু বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোহাগ হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হজ ব্যবস্থাপনায় আরও সাশ্রয়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ: ধর্ম উপদেষ্টা ইসরাইলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা: রিপোর্ট

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় নিহত ১১০ ফিলিস্তিনি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে শুধু রাফাহতেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ জন, যারা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর সামনে খাদ্য সহায়তার লাইনে অপেক্ষা করছিলেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হত্যাকাণ্ডের পর কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা অচল হয়ে পড়ে এবং গাজার জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনার ঝড় ওঠে।

রাফাহর আল-শাকুশ এলাকায় আক্রমণ থেকে বেঁচে ফেরা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায় সরাসরি খাদ্য সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ মানুষের ওপর।

এক বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি সামির শাআত বলেন, “সেই জায়গায় ছিল রক্তের সাগর। মানুষ শুধু একমুঠো খাবারের আশায় এসেছিল, অথচ সেই খাবারের ব্যাগই এখন তাদের কাফনের কাপড় হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম, এটি ছিল এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এক শহীদ বন্ধুকে কাঁধে করে নিয়ে হাঁটছিলাম। চারপাশে শুধু লাশ আর আর্তনাদ।”

এ ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ বারবাখ জানান, “ইসরায়েলি স্নাইপাররা ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের গুলি করেছে। তারা আমাদের প্রতারণা করে বলেছিল সাহায্য নিতে আসতে। কিন্তু আমরা ব্যাগ নিয়ে গেলে আমাদের হাঁস-মুরগির মতো গুলি করে মেরে ফেলে।”

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন রাফাহর এই সহায়তা কেন্দ্রগুলোকে অভিহিত করেছে ‘মানব হত্যাকেন্দ্র’ ও ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর এমন ভয়াবহ হামলা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, এটি এক নির্মম গণহত্যার দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় নিহত ১১০ ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ১০:০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

 

 

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে শুধু রাফাহতেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ জন, যারা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর সামনে খাদ্য সহায়তার লাইনে অপেক্ষা করছিলেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হত্যাকাণ্ডের পর কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা অচল হয়ে পড়ে এবং গাজার জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনার ঝড় ওঠে।

রাফাহর আল-শাকুশ এলাকায় আক্রমণ থেকে বেঁচে ফেরা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায় সরাসরি খাদ্য সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ মানুষের ওপর।

এক বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি সামির শাআত বলেন, “সেই জায়গায় ছিল রক্তের সাগর। মানুষ শুধু একমুঠো খাবারের আশায় এসেছিল, অথচ সেই খাবারের ব্যাগই এখন তাদের কাফনের কাপড় হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম, এটি ছিল এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এক শহীদ বন্ধুকে কাঁধে করে নিয়ে হাঁটছিলাম। চারপাশে শুধু লাশ আর আর্তনাদ।”

এ ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ বারবাখ জানান, “ইসরায়েলি স্নাইপাররা ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের গুলি করেছে। তারা আমাদের প্রতারণা করে বলেছিল সাহায্য নিতে আসতে। কিন্তু আমরা ব্যাগ নিয়ে গেলে আমাদের হাঁস-মুরগির মতো গুলি করে মেরে ফেলে।”

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন রাফাহর এই সহায়তা কেন্দ্রগুলোকে অভিহিত করেছে ‘মানব হত্যাকেন্দ্র’ ও ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর এমন ভয়াবহ হামলা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, এটি এক নির্মম গণহত্যার দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।