ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনের ক্ষমা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা, স্বামী সুমন গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ১৭, আহত বহু টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত ২১ জেলার কৃষি, তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন ও ফসলি জমি ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের চিন্তা সরকারের: ত্রাণ উপদেষ্টা তাপমাত্রা ও বজ্রসহ বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উইম্বলডন থেকে বিদায় জোকোভিচের, ফাইনালে মুখোমুখি আলকারাজ-সিনার নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে: উপ-প্রেস সচিব ব্যবসায়ী হত্যার ভিডিও প্রকাশে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে: যুবদল সভাপতি

নয়াদিল্লিতে চারতলা ভবনে ভয়াবহ ধস, বহু মানুষ চাপা পড়ার আশঙ্কা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ওয়েলকাম এলাকায় একটি চারতলা ভবন হঠাৎ করে ধসে পড়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই গোটা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। চারদিকে ধুলো, ধোঁয়া ও মানুষের চিৎকারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েকজন মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরও অন্তত তিনজন চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, সময়ের সঙ্গে আটকে পড়া মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ একাধিক উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও স্বেচ্ছায় উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন। একটি উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা জানান, “সকাল ৭টার দিকে আমরা খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। এখনো ভবন ধসের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ভবনটি। মুহূর্তেই ধসে পড়ে পুরো কাঠামো। চারদিকে ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যায়, লোকজন চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনটির অবকাঠামো অনেক আগেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল, কিন্তু তাতে কোনও সংস্কার কাজ করা হয়নি। তারা মনে করছেন, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও দিল্লির মুস্তাফাবাদ এলাকায় চারতলা একটি ভবন ধসে পড়েছিল। সেই ঘটনায় চারজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হন। ফলে বারবার এমন দুর্ঘটনায় পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ে প্রশাসনের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এ ঘটনায় দিল্লি নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে স্থানীয়রা পুরোনো ভবনের তালিকা তৈরি, পর্যবেক্ষণ জোরদার এবং জরুরি সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নয়াদিল্লিতে চারতলা ভবনে ভয়াবহ ধস, বহু মানুষ চাপা পড়ার আশঙ্কা

আপডেট সময় ১১:৪৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ওয়েলকাম এলাকায় একটি চারতলা ভবন হঠাৎ করে ধসে পড়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই গোটা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। চারদিকে ধুলো, ধোঁয়া ও মানুষের চিৎকারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েকজন মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরও অন্তত তিনজন চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, সময়ের সঙ্গে আটকে পড়া মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ একাধিক উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও স্বেচ্ছায় উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন। একটি উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা জানান, “সকাল ৭টার দিকে আমরা খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। এখনো ভবন ধসের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ভবনটি। মুহূর্তেই ধসে পড়ে পুরো কাঠামো। চারদিকে ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যায়, লোকজন চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনটির অবকাঠামো অনেক আগেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল, কিন্তু তাতে কোনও সংস্কার কাজ করা হয়নি। তারা মনে করছেন, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও দিল্লির মুস্তাফাবাদ এলাকায় চারতলা একটি ভবন ধসে পড়েছিল। সেই ঘটনায় চারজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হন। ফলে বারবার এমন দুর্ঘটনায় পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ে প্রশাসনের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এ ঘটনায় দিল্লি নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে স্থানীয়রা পুরোনো ভবনের তালিকা তৈরি, পর্যবেক্ষণ জোরদার এবং জরুরি সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যায়।