০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 139

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা একে ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ তৈরি করেছে গাজায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “গাজার মানুষ এমন এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায় বাস করছে, যেখানে তাদের সামনে রয়েছে মাত্র দুটি বিকল্প ক্ষুধায় মৃত্যু অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো।”

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর জানায়, মে মাস থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন মানুষ। সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন জাতিসংঘের সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে, আর ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের পথে।

তিনি বলেন, “এই সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকির জায়গাগুলো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও রাস্তাঘাট।”

এদিকে ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তুর্কি কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা সেখানে থাকা লাশ উত্তোলন করেছে এবং ধ্বংস করেছে আশপাশের কবর ও শিবির। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গাজা উপত্যকায় মোট ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার শিশু ও নারীসহ সাধারণ নাগরিকেরা এখন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকট তীব্রতর হচ্ছে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা এবং সাধারণ জনগণের ওপর চলমান হামলা অবিলম্বে বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

আপডেট সময় ১১:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা একে ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ তৈরি করেছে গাজায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “গাজার মানুষ এমন এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায় বাস করছে, যেখানে তাদের সামনে রয়েছে মাত্র দুটি বিকল্প ক্ষুধায় মৃত্যু অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো।”

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর জানায়, মে মাস থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন মানুষ। সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন জাতিসংঘের সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে, আর ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের পথে।

তিনি বলেন, “এই সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকির জায়গাগুলো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও রাস্তাঘাট।”

এদিকে ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তুর্কি কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা সেখানে থাকা লাশ উত্তোলন করেছে এবং ধ্বংস করেছে আশপাশের কবর ও শিবির। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গাজা উপত্যকায় মোট ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার শিশু ও নারীসহ সাধারণ নাগরিকেরা এখন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকট তীব্রতর হচ্ছে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা এবং সাধারণ জনগণের ওপর চলমান হামলা অবিলম্বে বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আল জাজিরা