ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনী বিজিবির যৌথ অভিযানে ভারতীয় কফি আটক রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে অপরাধীরা: সিপিবি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের মতোই চাঁদাবাজদেরও বিদায় করবে জনগণ: ছাত্রশিবির মিটফোর্ডের হত্যায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী মাদারগঞ্জে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্কে ৭ গ্রামের মানুষ কালিয়াকৈরে ৩০২ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনের ক্ষমা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা, স্বামী সুমন গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ১৭, আহত বহু

গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা একে ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ তৈরি করেছে গাজায়।

তিনি বলেন, “গাজার মানুষ এমন এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায় বাস করছে, যেখানে তাদের সামনে রয়েছে মাত্র দুটি বিকল্প ক্ষুধায় মৃত্যু অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো।”

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর জানায়, মে মাস থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন মানুষ। সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন জাতিসংঘের সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে, আর ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের পথে।

তিনি বলেন, “এই সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকির জায়গাগুলো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও রাস্তাঘাট।”

এদিকে ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তুর্কি কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা সেখানে থাকা লাশ উত্তোলন করেছে এবং ধ্বংস করেছে আশপাশের কবর ও শিবির। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গাজা উপত্যকায় মোট ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার শিশু ও নারীসহ সাধারণ নাগরিকেরা এখন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকট তীব্রতর হচ্ছে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা এবং সাধারণ জনগণের ওপর চলমান হামলা অবিলম্বে বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

আপডেট সময় ১১:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা একে ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ তৈরি করেছে গাজায়।

তিনি বলেন, “গাজার মানুষ এমন এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায় বাস করছে, যেখানে তাদের সামনে রয়েছে মাত্র দুটি বিকল্প ক্ষুধায় মৃত্যু অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো।”

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর জানায়, মে মাস থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন মানুষ। সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন জাতিসংঘের সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে, আর ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের পথে।

তিনি বলেন, “এই সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকির জায়গাগুলো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও রাস্তাঘাট।”

এদিকে ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তুর্কি কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা সেখানে থাকা লাশ উত্তোলন করেছে এবং ধ্বংস করেছে আশপাশের কবর ও শিবির। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গাজা উপত্যকায় মোট ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার শিশু ও নারীসহ সাধারণ নাগরিকেরা এখন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকট তীব্রতর হচ্ছে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা এবং সাধারণ জনগণের ওপর চলমান হামলা অবিলম্বে বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আল জাজিরা