সামরিক চুক্তি জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া

- আপডেট সময় ০৯:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
- / 10
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি একটি ত্রিপক্ষীয় সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় অংশ নেয় মার্কিন বি-৫২এইচ কৌশলগত বোমারু বিমান এবং আধুনিক যুদ্ধবিমান। উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ও চুক্তি জোরদার হওয়ায় নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, উত্তর কোরিয়ার চলমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম প্রতিনিয়ত হুমকি তৈরি করছে। এই হুমকির প্রেক্ষিতে এ বছর প্রথমবারের মতো কোরিয়া উপদ্বীপে মোতায়েন করা হয় মার্কিন বি-৫২এইচ বোমারু বিমান।
এ উপলক্ষে সিউলে আয়োজিত ত্রিদেশীয় প্রতিরক্ষা বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধানরা অংশ নেন। বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের সূচনায় মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করছি এবং এই অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতের জন্য পথ দেখাবে। সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির এই যাত্রায় আমাদের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে হতে পারে।” তিনি জানান, উত্তর কোরিয়া ও চীন সামরিক শক্তি জোরদার করে নিজেদের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ানের সম্মেলনের এক পার্শ্ববৈঠকে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়া, দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক ইউন-জু এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈঠক করেন। সেখানে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি জ্বালানি, খনিজ, জাহাজ নির্মাণ এবং সরবরাহ শৃঙ্খলায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়।
এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ উত্তর কোরিয়া সফরে গেছেন। সেখানে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশ একটি কৌশলগত ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। রুশ সংবাদ সংস্থা রিয়া জানায়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের রাশিয়া সফর নিয়ে আলোচনা চলছে, যদিও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো পরিকল্পনার কথা জানানো হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক প্রধানরাও রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য সেনা মোতায়েন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।