ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগরিকার হ্যাটট্রিক: শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ: পাবনায় ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কার কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

ইসরায়েলের সমালোচনায় মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ: জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নীতির প্রতি আন্তর্জাতিক সমালোচনা নতুন কিছু নয়। তবে, সম্প্রতি মার্কিন সরকার জাতিসংঘের এক দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই পদক্ষেপের পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কারণ রয়েছে।

জাতিসংঘের যে দূত নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তার বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে ইসরায়েলি নীতির অমানবিক দিকগুলো তুলে ধরেছিল। এই সমালোচনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

মার্কিন সরকার, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়, ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রদর্শন করেছে। যেহেতু ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান মিত্র, তাই এ ধরনের সমালোচনা সহ্য করা তাদের জন্য কঠিন। ফলে, সরকার জাতিসংঘের এই দূতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের দিকে উত্থাপিত সমালোচনাকে স্তব্ধ করা। এই পদক্ষেপ রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে পারে, যা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জোরদার করবে।

এ পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং রাষ্ট্রসমূহ এই নিষেধাজ্ঞাকে একটি অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, এটি স্বাধীনতার প্রতি আঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জাতিসংঘ ও মার্কিন সরকারের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। একই সাথে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যও একটি বাধা হিসেবে কাজ করবে।

মার্কিন সরকারের জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের একটি প্রকাশ। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গাজার পরিস্থিতির প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের ফলে রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের সমালোচনায় মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ: জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

 

 

গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নীতির প্রতি আন্তর্জাতিক সমালোচনা নতুন কিছু নয়। তবে, সম্প্রতি মার্কিন সরকার জাতিসংঘের এক দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই পদক্ষেপের পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কারণ রয়েছে।

জাতিসংঘের যে দূত নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তার বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে ইসরায়েলি নীতির অমানবিক দিকগুলো তুলে ধরেছিল। এই সমালোচনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

মার্কিন সরকার, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়, ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রদর্শন করেছে। যেহেতু ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান মিত্র, তাই এ ধরনের সমালোচনা সহ্য করা তাদের জন্য কঠিন। ফলে, সরকার জাতিসংঘের এই দূতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের দিকে উত্থাপিত সমালোচনাকে স্তব্ধ করা। এই পদক্ষেপ রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে পারে, যা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জোরদার করবে।

এ পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং রাষ্ট্রসমূহ এই নিষেধাজ্ঞাকে একটি অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, এটি স্বাধীনতার প্রতি আঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জাতিসংঘ ও মার্কিন সরকারের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। একই সাথে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যও একটি বাধা হিসেবে কাজ করবে।

মার্কিন সরকারের জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের একটি প্রকাশ। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গাজার পরিস্থিতির প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের ফলে রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হতে পারে।