০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি

ইসরায়েলের সমালোচনায় মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ: জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নীতির প্রতি আন্তর্জাতিক সমালোচনা নতুন কিছু নয়। তবে, সম্প্রতি মার্কিন সরকার জাতিসংঘের এক দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই পদক্ষেপের পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কারণ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের যে দূত নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তার বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে ইসরায়েলি নীতির অমানবিক দিকগুলো তুলে ধরেছিল। এই সমালোচনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

মার্কিন সরকার, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়, ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রদর্শন করেছে। যেহেতু ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান মিত্র, তাই এ ধরনের সমালোচনা সহ্য করা তাদের জন্য কঠিন। ফলে, সরকার জাতিসংঘের এই দূতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের দিকে উত্থাপিত সমালোচনাকে স্তব্ধ করা। এই পদক্ষেপ রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে পারে, যা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জোরদার করবে।

এ পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং রাষ্ট্রসমূহ এই নিষেধাজ্ঞাকে একটি অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, এটি স্বাধীনতার প্রতি আঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জাতিসংঘ ও মার্কিন সরকারের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। একই সাথে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যও একটি বাধা হিসেবে কাজ করবে।

মার্কিন সরকারের জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের একটি প্রকাশ। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গাজার পরিস্থিতির প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের ফলে রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের সমালোচনায় মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ: জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

 

 

গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নীতির প্রতি আন্তর্জাতিক সমালোচনা নতুন কিছু নয়। তবে, সম্প্রতি মার্কিন সরকার জাতিসংঘের এক দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই পদক্ষেপের পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কারণ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের যে দূত নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তার বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে ইসরায়েলি নীতির অমানবিক দিকগুলো তুলে ধরেছিল। এই সমালোচনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

মার্কিন সরকার, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়, ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রদর্শন করেছে। যেহেতু ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান মিত্র, তাই এ ধরনের সমালোচনা সহ্য করা তাদের জন্য কঠিন। ফলে, সরকার জাতিসংঘের এই দূতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের দিকে উত্থাপিত সমালোচনাকে স্তব্ধ করা। এই পদক্ষেপ রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে পারে, যা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জোরদার করবে।

এ পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং রাষ্ট্রসমূহ এই নিষেধাজ্ঞাকে একটি অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, এটি স্বাধীনতার প্রতি আঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জাতিসংঘ ও মার্কিন সরকারের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। একই সাথে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যও একটি বাধা হিসেবে কাজ করবে।

মার্কিন সরকারের জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের একটি প্রকাশ। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গাজার পরিস্থিতির প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের ফলে রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হতে পারে।