ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের — যার নাম ‘আমেরিকা পার্টি’। স্থানীয় সময় শনিবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্ক।

পোস্টে তিনি লেখেন, “আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হলো।”

মাস্কের এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দল গঠনের আগে মাস্ক এক্স-এ একটি জরিপ চালান, যেখানে প্রায় ১২ লাখ মানুষ অংশ নেন। মাস্কের ভাষ্যমতে, তাদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল চেয়েছেন।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে একটি করছাড় ও ব্যয় বৃদ্ধির বিতর্কিত বিল আইনে সই করেন, যার কড়া সমালোচনা করেছেন মাস্ক। তিনি বলেন, “এই বিল যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দেবে।”

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর মাস্ক ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচরদের একজন। এমনকি ট্রাম্পের প্রচারণায় আর্থিক সহায়তাও করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও কাজ করেছেন। তবে নতুন বাজেট পরিকল্পনাকে ঘিরে মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের টানাপড়েন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মাস্কের নতুন দল গঠনের মধ্য দিয়ে সেই দ্বন্দ্ব যেন আরও দৃশ্যমান হলো।

ইলন মাস্ক এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্পের ব্যয়বহুল বিলকে সমর্থন দেওয়া কংগ্রেস সদস্যদের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে নির্বাচনে তাদের হারাতে অর্থ ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।

এদিকে, সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দেন যে, মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করা হতে পারে। এর প্রভাব ইতিমধ্যেই টেসলার শেয়ারে পড়তে শুরু করেছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর সময় টেসলার প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ৪৮৮ ডলার, যা গত সপ্তাহে নেমে এসেছে ৩১৫ ডলারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাস্কের নতুন দল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে, তা এখনই বলা কঠিন। রিপাবলিকান শিবির শঙ্কা করছে, এই দল ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথ কঠিন করে তুলতে পারে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেন, ইলন মাস্ক যতই প্রভাবশালী বা বিত্তশালী হোন না কেন, যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দেড়শ বছরের বেশি সময়ের দুইদলীয় আধিপত্য ভাঙা সহজ হবে না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের

আপডেট সময় ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের — যার নাম ‘আমেরিকা পার্টি’। স্থানীয় সময় শনিবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্ক।

পোস্টে তিনি লেখেন, “আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হলো।”

মাস্কের এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দল গঠনের আগে মাস্ক এক্স-এ একটি জরিপ চালান, যেখানে প্রায় ১২ লাখ মানুষ অংশ নেন। মাস্কের ভাষ্যমতে, তাদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল চেয়েছেন।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে একটি করছাড় ও ব্যয় বৃদ্ধির বিতর্কিত বিল আইনে সই করেন, যার কড়া সমালোচনা করেছেন মাস্ক। তিনি বলেন, “এই বিল যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দেবে।”

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর মাস্ক ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচরদের একজন। এমনকি ট্রাম্পের প্রচারণায় আর্থিক সহায়তাও করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও কাজ করেছেন। তবে নতুন বাজেট পরিকল্পনাকে ঘিরে মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের টানাপড়েন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মাস্কের নতুন দল গঠনের মধ্য দিয়ে সেই দ্বন্দ্ব যেন আরও দৃশ্যমান হলো।

ইলন মাস্ক এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্পের ব্যয়বহুল বিলকে সমর্থন দেওয়া কংগ্রেস সদস্যদের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে নির্বাচনে তাদের হারাতে অর্থ ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।

এদিকে, সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দেন যে, মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করা হতে পারে। এর প্রভাব ইতিমধ্যেই টেসলার শেয়ারে পড়তে শুরু করেছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর সময় টেসলার প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ৪৮৮ ডলার, যা গত সপ্তাহে নেমে এসেছে ৩১৫ ডলারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাস্কের নতুন দল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে, তা এখনই বলা কঠিন। রিপাবলিকান শিবির শঙ্কা করছে, এই দল ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথ কঠিন করে তুলতে পারে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেন, ইলন মাস্ক যতই প্রভাবশালী বা বিত্তশালী হোন না কেন, যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দেড়শ বছরের বেশি সময়ের দুইদলীয় আধিপত্য ভাঙা সহজ হবে না।