০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোপনে ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েলের প্রকাশ্য হামলার নিন্দা জানালেও সৌদি আরব গোপনে তেল আবিবকে সহযোগিতা করছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ইসরায়েল হাইওম’-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের সমালোচনা করলেও বাস্তবে ইরানের ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে রিয়াদ। সৌদি আরবের পাশাপাশি প্রতিবেশী জর্দান ও ইরাকের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করে বিস্ফোরকবোঝাই চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আঞ্চলিক আকাশসীমার নিরাপত্তায় এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলকে সহযোগিতা হিসেবেই দেখছে প্রতিবেদকরা।

বিজ্ঞাপন

যদিও সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহযোগিতা স্বীকার করেনি।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা দেশগুলোও সরাসরি ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ফলে ১২ দিনের সংঘাতে তেহরান একা লড়লেও, ইসরায়েলকে কার্যত একাধিক মিত্রের সমর্থন পেতে দেখা গেছে।

এছাড়া মুসলিমপ্রধান দেশ জর্দানকেও ইরানের হামলা মাঝপথে থামানোর অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও জর্দান কিংবা সৌদি আরব সরাসরি তেহরানবিরোধী কোনো পদক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সৌদি আরব শুরু থেকেই কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে এসেছে। কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানের ভেতরে চালানো ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করেছে রিয়াদ। এমনকি সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলার সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহিনী হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশই যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ইসরায়েলের প্রতি সৌদির অবস্থান পুরোপুরি নেতিবাচক নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজায় দীর্ঘ ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার বিপরীতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর বা কঠোর অবস্থান না নেওয়ার কারণে দেশটির ওপর সমালোচনার ঝড় বইছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোপনে ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

ইসরায়েলের প্রকাশ্য হামলার নিন্দা জানালেও সৌদি আরব গোপনে তেল আবিবকে সহযোগিতা করছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ইসরায়েল হাইওম’-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের সমালোচনা করলেও বাস্তবে ইরানের ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে রিয়াদ। সৌদি আরবের পাশাপাশি প্রতিবেশী জর্দান ও ইরাকের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করে বিস্ফোরকবোঝাই চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আঞ্চলিক আকাশসীমার নিরাপত্তায় এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলকে সহযোগিতা হিসেবেই দেখছে প্রতিবেদকরা।

বিজ্ঞাপন

যদিও সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহযোগিতা স্বীকার করেনি।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা দেশগুলোও সরাসরি ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ফলে ১২ দিনের সংঘাতে তেহরান একা লড়লেও, ইসরায়েলকে কার্যত একাধিক মিত্রের সমর্থন পেতে দেখা গেছে।

এছাড়া মুসলিমপ্রধান দেশ জর্দানকেও ইরানের হামলা মাঝপথে থামানোর অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও জর্দান কিংবা সৌদি আরব সরাসরি তেহরানবিরোধী কোনো পদক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সৌদি আরব শুরু থেকেই কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে এসেছে। কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানের ভেতরে চালানো ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করেছে রিয়াদ। এমনকি সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলার সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহিনী হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশই যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ইসরায়েলের প্রতি সৌদির অবস্থান পুরোপুরি নেতিবাচক নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজায় দীর্ঘ ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার বিপরীতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর বা কঠোর অবস্থান না নেওয়ার কারণে দেশটির ওপর সমালোচনার ঝড় বইছে।