ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা ভারতের উত্তর প্রদেশে বিয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা, বরসহ নিহত একই পরিবারের ৮ জন শেরপুরের কাটাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্য হাতির মৃত্যু, উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা নওগাঁর রায়হান আলম: আমচাষে নবজাগরণ ঘটানো এক সাহসী কৃষক গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই : ট্রাম্প কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ডোনেশন ওয়েবসাইট উদ্বোধন কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: দুই দিন পর মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২ জন লোহাগড়ায় একসঙ্গে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম তুরস্কে জুলাইয়ে বিরল তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না: সচিবের হুঁশিয়ারি

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোপনে ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েলের প্রকাশ্য হামলার নিন্দা জানালেও সৌদি আরব গোপনে তেল আবিবকে সহযোগিতা করছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ইসরায়েল হাইওম’-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের সমালোচনা করলেও বাস্তবে ইরানের ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে রিয়াদ। সৌদি আরবের পাশাপাশি প্রতিবেশী জর্দান ও ইরাকের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করে বিস্ফোরকবোঝাই চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আঞ্চলিক আকাশসীমার নিরাপত্তায় এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলকে সহযোগিতা হিসেবেই দেখছে প্রতিবেদকরা।

যদিও সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহযোগিতা স্বীকার করেনি।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা দেশগুলোও সরাসরি ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ফলে ১২ দিনের সংঘাতে তেহরান একা লড়লেও, ইসরায়েলকে কার্যত একাধিক মিত্রের সমর্থন পেতে দেখা গেছে।

এছাড়া মুসলিমপ্রধান দেশ জর্দানকেও ইরানের হামলা মাঝপথে থামানোর অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও জর্দান কিংবা সৌদি আরব সরাসরি তেহরানবিরোধী কোনো পদক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সৌদি আরব শুরু থেকেই কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে এসেছে। কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানের ভেতরে চালানো ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করেছে রিয়াদ। এমনকি সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলার সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহিনী হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশই যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ইসরায়েলের প্রতি সৌদির অবস্থান পুরোপুরি নেতিবাচক নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজায় দীর্ঘ ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার বিপরীতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর বা কঠোর অবস্থান না নেওয়ার কারণে দেশটির ওপর সমালোচনার ঝড় বইছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোপনে ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

ইসরায়েলের প্রকাশ্য হামলার নিন্দা জানালেও সৌদি আরব গোপনে তেল আবিবকে সহযোগিতা করছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ইসরায়েল হাইওম’-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের সমালোচনা করলেও বাস্তবে ইরানের ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে রিয়াদ। সৌদি আরবের পাশাপাশি প্রতিবেশী জর্দান ও ইরাকের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করে বিস্ফোরকবোঝাই চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আঞ্চলিক আকাশসীমার নিরাপত্তায় এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলকে সহযোগিতা হিসেবেই দেখছে প্রতিবেদকরা।

যদিও সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহযোগিতা স্বীকার করেনি।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা দেশগুলোও সরাসরি ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ফলে ১২ দিনের সংঘাতে তেহরান একা লড়লেও, ইসরায়েলকে কার্যত একাধিক মিত্রের সমর্থন পেতে দেখা গেছে।

এছাড়া মুসলিমপ্রধান দেশ জর্দানকেও ইরানের হামলা মাঝপথে থামানোর অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও জর্দান কিংবা সৌদি আরব সরাসরি তেহরানবিরোধী কোনো পদক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সৌদি আরব শুরু থেকেই কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে এসেছে। কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানের ভেতরে চালানো ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করেছে রিয়াদ। এমনকি সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলার সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহিনী হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশই যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ইসরায়েলের প্রতি সৌদির অবস্থান পুরোপুরি নেতিবাচক নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজায় দীর্ঘ ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার বিপরীতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর বা কঠোর অবস্থান না নেওয়ার কারণে দেশটির ওপর সমালোচনার ঝড় বইছে।