০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভয়াবহ ফেরি ডুবিতে নিহত ৪, নিখোঁজ ৩৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 59

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের কাছে সাগরে ৬৫ জন আরোহী নিয়ে একটি ফেরি ডুবে গেছে। ঘটনার পর উদ্ধারকারী দল রাতভর অভিযান চালিয়ে এখনো নিখোঁজ থাকা ৩৮ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে এএফপির খবরে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ডুবে যাওয়া ফেরিটির নাম ‘কেএমপি তুনু প্রাতামা জায়া’। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার দিন শেষে ফেরিটি পূর্ব জাভার কেতাপাং বন্দর থেকে রওনা হওয়ার প্রায় আধাঘণ্টা পরেই প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফেরিটি কেতাপাং বন্দর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে অবস্থিত বালির গিলিমানুক বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিতে ৫৩ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিলেন। এর পাশাপাশি ২২টি যানবাহন, যার মধ্যে ১৪টি ট্রাকও ছিল, তা বোঝাই অবস্থায় ফেরিটি যাত্রা করেছিল।

পূর্ব জাভার বানয়ুওয়াঙ্গি শহরের পুলিশপ্রধান রামা সামতামা পুত্রা জানিয়েছেন, ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা উত্তাল সাগরে ভেসে থাকার কারণে অনেকে অচেতন হয়ে পড়েন।

উদ্ধার অভিযানে রাতভর ৯টি নৌকা অংশ নেয়। তবে রাতের আঁধার এবং সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। তবুও উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ফেরি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহনের কারণে প্রায়ই বড় দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চালিয়ে যাওয়া হবে।

এ ঘটনায় উদ্ধারকৃতদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। দুর্যোগের সময়ে যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার নিশ্চিত করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিখোঁজদের ভাগ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা থেকেই যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভয়াবহ ফেরি ডুবিতে নিহত ৪, নিখোঁজ ৩৮

আপডেট সময় ১০:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের কাছে সাগরে ৬৫ জন আরোহী নিয়ে একটি ফেরি ডুবে গেছে। ঘটনার পর উদ্ধারকারী দল রাতভর অভিযান চালিয়ে এখনো নিখোঁজ থাকা ৩৮ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে এএফপির খবরে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ডুবে যাওয়া ফেরিটির নাম ‘কেএমপি তুনু প্রাতামা জায়া’। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার দিন শেষে ফেরিটি পূর্ব জাভার কেতাপাং বন্দর থেকে রওনা হওয়ার প্রায় আধাঘণ্টা পরেই প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফেরিটি কেতাপাং বন্দর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে অবস্থিত বালির গিলিমানুক বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিতে ৫৩ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিলেন। এর পাশাপাশি ২২টি যানবাহন, যার মধ্যে ১৪টি ট্রাকও ছিল, তা বোঝাই অবস্থায় ফেরিটি যাত্রা করেছিল।

পূর্ব জাভার বানয়ুওয়াঙ্গি শহরের পুলিশপ্রধান রামা সামতামা পুত্রা জানিয়েছেন, ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা উত্তাল সাগরে ভেসে থাকার কারণে অনেকে অচেতন হয়ে পড়েন।

উদ্ধার অভিযানে রাতভর ৯টি নৌকা অংশ নেয়। তবে রাতের আঁধার এবং সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। তবুও উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ফেরি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহনের কারণে প্রায়ই বড় দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চালিয়ে যাওয়া হবে।

এ ঘটনায় উদ্ধারকৃতদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। দুর্যোগের সময়ে যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার নিশ্চিত করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিখোঁজদের ভাগ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা থেকেই যাচ্ছে।