ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ব্যর্থ, এনসিপি নিজেই ঘোষণা দেবে: নাহিদ ইসলাম ভারতে রথযাত্রায় মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০ উত্তরার আজমপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান কোনো আপস করবে না: সেনাপ্রধান বেনফিকাকে হারিয়ে চেলসি ও বোতাফোগোর হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ডিএসইতে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৮০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি স্থগিত করল আপিল বিভাগ পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইরান সাফ জানিয়েছে, চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দেশটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই খবর পুরোপুরি মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) ইরানের একটি বিশ্বস্ত সূত্র মেহের নিউজকে জানান, “চীনের একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দাবি করেছে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ সম্প্রতি বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার উদ্দেশ্যে।” তবে এই সূত্রের দাবি, “এটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা এবং একটি ইহুদি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের ছড়ানো প্রপাগান্ডা।”

প্রসঙ্গত, টানা ১২ দিন ধরে চলা ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনে যান। এই সময় থেকেই গুজব ছড়ানো হয় যে, ইরান চীনের কাছ থেকে নতুন যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরের মূল লক্ষ্য ছিল সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। অস্ত্র ক্রয় বা যুদ্ধবিমান কেনা এই সফরের কোনো এজেন্ডায় ছিল না।

তেহরান এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইরানের দাবি, “এই ধরনের ভুয়া তথ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।”

তেহরান আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর উচিত যথাযথভাবে তথ্য যাচাই না করে এমন বিভ্রান্তিকর ও মনগড়া সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ

আপডেট সময় ১১:০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইরান সাফ জানিয়েছে, চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দেশটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই খবর পুরোপুরি মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) ইরানের একটি বিশ্বস্ত সূত্র মেহের নিউজকে জানান, “চীনের একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দাবি করেছে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ সম্প্রতি বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার উদ্দেশ্যে।” তবে এই সূত্রের দাবি, “এটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা এবং একটি ইহুদি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের ছড়ানো প্রপাগান্ডা।”

প্রসঙ্গত, টানা ১২ দিন ধরে চলা ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনে যান। এই সময় থেকেই গুজব ছড়ানো হয় যে, ইরান চীনের কাছ থেকে নতুন যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরের মূল লক্ষ্য ছিল সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। অস্ত্র ক্রয় বা যুদ্ধবিমান কেনা এই সফরের কোনো এজেন্ডায় ছিল না।

তেহরান এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইরানের দাবি, “এই ধরনের ভুয়া তথ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।”

তেহরান আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর উচিত যথাযথভাবে তথ্য যাচাই না করে এমন বিভ্রান্তিকর ও মনগড়া সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা।