ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নিহত ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, তেহরানে মানুষের ঢল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

ইসরাইলের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহত অন্তত ৬০ জনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইরানে। নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।

শনিবার (২৮ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তেহরানে হাজারো মানুষ পতাকা ও ব্যানার হাতে জড়ো হন। শোকাহত মানুষের হাতে নিহত কমান্ডারদের ছবি দেখা গেছে। এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের লাল, সাদা ও সবুজ রঙে মোড়ানো কফিন ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষ হাত বাড়াচ্ছেন।

জানাজায় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

একটি মঞ্চে নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ছবি প্রদর্শন করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

এদিকে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, জানাজার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দেন। অনেকের হাতেই ছিল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ছবি।

প্রসঙ্গত, হোসেইন সালামিকে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক নেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি দায়িত্ব পালন করছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে।

গত ১৩ জুন ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল। রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়। এতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের মৃত্যু ঘটে। এর জবাবে ইরান থেকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয় ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে।

উভয়পক্ষের এ ধরনের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নিহত ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, তেহরানে মানুষের ঢল

আপডেট সময় ০৪:১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

ইসরাইলের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহত অন্তত ৬০ জনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইরানে। নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।

শনিবার (২৮ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তেহরানে হাজারো মানুষ পতাকা ও ব্যানার হাতে জড়ো হন। শোকাহত মানুষের হাতে নিহত কমান্ডারদের ছবি দেখা গেছে। এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের লাল, সাদা ও সবুজ রঙে মোড়ানো কফিন ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষ হাত বাড়াচ্ছেন।

জানাজায় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

একটি মঞ্চে নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ছবি প্রদর্শন করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

এদিকে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, জানাজার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দেন। অনেকের হাতেই ছিল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ছবি।

প্রসঙ্গত, হোসেইন সালামিকে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক নেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি দায়িত্ব পালন করছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে।

গত ১৩ জুন ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল। রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়। এতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের মৃত্যু ঘটে। এর জবাবে ইরান থেকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয় ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে।

উভয়পক্ষের এ ধরনের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।