০৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নিহত ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, তেহরানে মানুষের ঢল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 62

ছবি: সংগৃহীত

 

ইসরাইলের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহত অন্তত ৬০ জনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইরানে। নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।

শনিবার (২৮ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তেহরানে হাজারো মানুষ পতাকা ও ব্যানার হাতে জড়ো হন। শোকাহত মানুষের হাতে নিহত কমান্ডারদের ছবি দেখা গেছে। এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের লাল, সাদা ও সবুজ রঙে মোড়ানো কফিন ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষ হাত বাড়াচ্ছেন।

জানাজায় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

একটি মঞ্চে নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ছবি প্রদর্শন করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

এদিকে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, জানাজার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দেন। অনেকের হাতেই ছিল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ছবি।

প্রসঙ্গত, হোসেইন সালামিকে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক নেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি দায়িত্ব পালন করছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে।

গত ১৩ জুন ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল। রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়। এতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের মৃত্যু ঘটে। এর জবাবে ইরান থেকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয় ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে।

উভয়পক্ষের এ ধরনের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নিহত ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, তেহরানে মানুষের ঢল

আপডেট সময় ০৪:১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

ইসরাইলের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহত অন্তত ৬০ জনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইরানে। নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।

শনিবার (২৮ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তেহরানে হাজারো মানুষ পতাকা ও ব্যানার হাতে জড়ো হন। শোকাহত মানুষের হাতে নিহত কমান্ডারদের ছবি দেখা গেছে। এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের লাল, সাদা ও সবুজ রঙে মোড়ানো কফিন ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষ হাত বাড়াচ্ছেন।

জানাজায় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

একটি মঞ্চে নিহতদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ছবি প্রদর্শন করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

এদিকে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, জানাজার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দেন। অনেকের হাতেই ছিল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ছবি।

প্রসঙ্গত, হোসেইন সালামিকে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক নেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি দায়িত্ব পালন করছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে।

গত ১৩ জুন ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল। রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়। এতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের মৃত্যু ঘটে। এর জবাবে ইরান থেকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয় ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে।

উভয়পক্ষের এ ধরনের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।