০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি ইয়েমেনে জাতিসংঘ কার্যালয়ে হুথি বাহিনীর অভিযান, আটক ২০ কর্মী হংকং বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা: সাগরে পড়ল কার্গো প্লেন, নিহত ২ কর্মী ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা: পরিবেশ উপদেষ্টা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৯, আহত চার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 71

 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪০০ জন। গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই প্রাণঘাতী হামলায় অধিকাংশ হতাহত হয়েছেন আবাসিক এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উত্তর-পূর্ব রামাল্লার কাফর মালেক এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের এমন আগ্রাসনে স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই ঘটনার পরদিন থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই আগ্রাসনে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৬ হাজার ১৫৬ জন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। হতাহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু।

গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবকাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল সবকিছুই ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাধিকবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, হামলা থেমে নেই। ফিলিস্তিনে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, চিকিৎসা সবকিছুরই তীব্র সংকট চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চাপ না বাড়লে এ যুদ্ধের অবসান শিগগিরই আসবে না। পরিস্থিতি দিনকে দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৯, আহত চার

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪০০ জন। গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই প্রাণঘাতী হামলায় অধিকাংশ হতাহত হয়েছেন আবাসিক এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উত্তর-পূর্ব রামাল্লার কাফর মালেক এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের এমন আগ্রাসনে স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই ঘটনার পরদিন থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই আগ্রাসনে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৬ হাজার ১৫৬ জন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। হতাহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু।

গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবকাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল সবকিছুই ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাধিকবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, হামলা থেমে নেই। ফিলিস্তিনে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, চিকিৎসা সবকিছুরই তীব্র সংকট চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চাপ না বাড়লে এ যুদ্ধের অবসান শিগগিরই আসবে না। পরিস্থিতি দিনকে দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।