ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রিটেন পরিকল্পিতভাবে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়: দাবি রুশ গোয়েন্দা সংস্থার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন প্রধান উপদেষ্টা, শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে তিনদিনব্যাপী আয়োজন ছাত্রশিবিরের খাগড়াছড়িতে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১ ৫ আগস্ট ইতিহাস কথা বলে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগই হবে আগামীর বাংলাদেশ রুপরেখা : ড. ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলবে মঙ্গলবার, বন্দর কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা ৩৬ জুলাই স্মরণে টেলিটকের বিশেষ অফার সাজিদ হত্যার ইস্যুতে পরিবারের মামলা

নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে জয় পেলেন জোহরান মামদানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে চমক দেখিয়ে জয় পেয়েছেন রাজ্য আইনপ্রণেতা জোহরান মামদানি। ৩৩ বছর বয়সী এই তরুণ নেতা প্রথম দফার ভোটে নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ অ্যান্ড্রু কুমোকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে (২৪ জুন) অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, মামদানি পেয়েছেন মোট ভোটের ৪৩.৫ শতাংশ, যেখানে কুমো পেয়েছেন ৩৬.৪ শতাংশ ভোট। কুইন্স, ব্রুকলিন এবং ম্যানহাটনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন মামদানি, যা তাকে জয়ের পথে এগিয়ে দেয়। অপরদিকে, ব্রঙ্কস ও স্টেটেন আইল্যান্ডে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কুমো তেমন সুবিধা করতে পারেননি।

বুধবার (২৫ জুন) সকালে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে মামদানি বলেন, “নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষায় বলতে গেলে, যেকোনো কাজই অসম্ভব মনে হয় যতক্ষণ না তা সম্পন্ন হয়। আজ আমরা আমাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন করেছি, এবং এটি সম্ভব হয়েছে আপনাদের জন্যই। আমি গর্বিত, নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী হতে পেরে।”

তবে প্রাথমিক এই জয়ের পর মামদানির সামনে এখন আরও বড় পরীক্ষা। আসন্ন মূল নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে। যদিও নিউইয়র্কের মতো প্রগতিশীল শহরে সাধারণত ডেমোক্রেটিক প্রার্থীই জয়ী হন, তাই এই প্রাইমারির ফলাফল অনেকেই চূড়ান্ত জয়ের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মামদানির এই বিজয়কে ‘আধুনিক নিউইয়র্ক রাজনীতির বড় চমক’ হিসেবে অভিহিত করছেন। প্রাইমারির আগে তুলনামূলকভাবে অচেনা থাকলেও, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিতে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ পরিচয়ে মামদানির পরিচিতি বাড়তে থাকে।

এই উত্থান অনেকের কাছে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের গল্প। তিনিও এক সময় স্বল্প পরিচিত ছিলেন, কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে অভাবনীয় জয় পেয়ে মার্কিন রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন।

বিশ্লেষকদের মতে, মামদানির এই জয় দেশের অন্য প্রগতিশীল ও তরুণ রাজনীতিকদের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা। কারণ, কুমোর পেছনে বিল ক্লিনটনের মতো প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন ও বিপুল অর্থায়নও মামদানির বিপরীতে তেমন কাজ করেনি। তৃণমূল-ভিত্তিক সমর্থনই মামদানিকে এগিয়ে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে জয় পেলেন জোহরান মামদানি

আপডেট সময় ০৬:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে চমক দেখিয়ে জয় পেয়েছেন রাজ্য আইনপ্রণেতা জোহরান মামদানি। ৩৩ বছর বয়সী এই তরুণ নেতা প্রথম দফার ভোটে নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ অ্যান্ড্রু কুমোকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে (২৪ জুন) অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, মামদানি পেয়েছেন মোট ভোটের ৪৩.৫ শতাংশ, যেখানে কুমো পেয়েছেন ৩৬.৪ শতাংশ ভোট। কুইন্স, ব্রুকলিন এবং ম্যানহাটনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন মামদানি, যা তাকে জয়ের পথে এগিয়ে দেয়। অপরদিকে, ব্রঙ্কস ও স্টেটেন আইল্যান্ডে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কুমো তেমন সুবিধা করতে পারেননি।

বুধবার (২৫ জুন) সকালে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে মামদানি বলেন, “নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষায় বলতে গেলে, যেকোনো কাজই অসম্ভব মনে হয় যতক্ষণ না তা সম্পন্ন হয়। আজ আমরা আমাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন করেছি, এবং এটি সম্ভব হয়েছে আপনাদের জন্যই। আমি গর্বিত, নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী হতে পেরে।”

তবে প্রাথমিক এই জয়ের পর মামদানির সামনে এখন আরও বড় পরীক্ষা। আসন্ন মূল নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে। যদিও নিউইয়র্কের মতো প্রগতিশীল শহরে সাধারণত ডেমোক্রেটিক প্রার্থীই জয়ী হন, তাই এই প্রাইমারির ফলাফল অনেকেই চূড়ান্ত জয়ের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মামদানির এই বিজয়কে ‘আধুনিক নিউইয়র্ক রাজনীতির বড় চমক’ হিসেবে অভিহিত করছেন। প্রাইমারির আগে তুলনামূলকভাবে অচেনা থাকলেও, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিতে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ পরিচয়ে মামদানির পরিচিতি বাড়তে থাকে।

এই উত্থান অনেকের কাছে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের গল্প। তিনিও এক সময় স্বল্প পরিচিত ছিলেন, কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে অভাবনীয় জয় পেয়ে মার্কিন রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন।

বিশ্লেষকদের মতে, মামদানির এই জয় দেশের অন্য প্রগতিশীল ও তরুণ রাজনীতিকদের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা। কারণ, কুমোর পেছনে বিল ক্লিনটনের মতো প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন ও বিপুল অর্থায়নও মামদানির বিপরীতে তেমন কাজ করেনি। তৃণমূল-ভিত্তিক সমর্থনই মামদানিকে এগিয়ে দিয়েছে।