ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্ত-মুশফিকের দুর্দান্ত ইনিংসে ৪৯৫ রানে থামলো বাংলাদেশ, লাঞ্চের আগে ১০০ শ্রীলংকার ফ্রান্সজুড়ে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে বিশেষ অভিযান, মোতায়েন ৪ হাজার সদস্য আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুনানি শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে আহত অন্তত ৩০ জন, শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিতর্ক ইরান-ইসরাইল সংঘাতে অস্থির ক্রিপ্টোবাজার, কমেছে বিটকয়েন-ইথারের দাম শেষ মুহূর্তের পেনাল্টি মিসে রিয়ালের হতাশা, আল-হিলালের সঙ্গে ড্র ড. শামসুল আলম গ্রেফতার: মোহাম্মদপুরে ডিবি’র অভিযানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আটক হোয়াইট হাউসের সামনে গাজা ও ইরানে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সবার নজর ইরানে, গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৪০: ত্রাণের অপেক্ষায় ঝরলো প্রাণ

গাজায় আরও রক্তস্নান: একদিনেই ১৪৪ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় আরও ১৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ জুন) একদিনেই এ প্রাণহানি ঘটে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগই খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিতে জড়ো হয়েছিলেন।

ভোররাতে গাজা সিটির নেতজারিম করিডোরে সালাহউদ্দিন সড়কে সহায়তা সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহতদের অনেকেই খাদ্য সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

একই দিনে গাজাজুড়ে চালানো বিমান ও স্থল হামলায় আল-মাওয়াসি, জেইতুন ও মাজাজি শরণার্থী ক্যাম্পে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হন। আল-মাওয়াসিতে শরণার্থী তাঁবুতে চালানো হামলায় পুরো একটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলো চরম জ্বালানি সংকটে রয়েছে। মাত্র তিন দিনের মতো জ্বালানি মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।

গাজায় সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি বাড়ছেই। হামাসের দাবি, এই বিতরণ প্রক্রিয়া আসলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক পরিকল্পনার অংশ। তাদের অভিযোগ, ‘রেড জোন’ দেখিয়ে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে না পারে।

এদিকে জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজার বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অপরদিকে ইসরাইল প্রতিদিনকার এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডকে ‘নিরাপত্তা হুমকি প্রতিহত করা’র নামে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে।

বেসামরিক মানুষের ওপর একের পর এক হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়লেও, কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে, যা সামনে আরও বড় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় আরও রক্তস্নান: একদিনেই ১৪৪ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি

আপডেট সময় ১০:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় আরও ১৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ জুন) একদিনেই এ প্রাণহানি ঘটে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগই খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিতে জড়ো হয়েছিলেন।

ভোররাতে গাজা সিটির নেতজারিম করিডোরে সালাহউদ্দিন সড়কে সহায়তা সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহতদের অনেকেই খাদ্য সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

একই দিনে গাজাজুড়ে চালানো বিমান ও স্থল হামলায় আল-মাওয়াসি, জেইতুন ও মাজাজি শরণার্থী ক্যাম্পে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হন। আল-মাওয়াসিতে শরণার্থী তাঁবুতে চালানো হামলায় পুরো একটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলো চরম জ্বালানি সংকটে রয়েছে। মাত্র তিন দিনের মতো জ্বালানি মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।

গাজায় সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি বাড়ছেই। হামাসের দাবি, এই বিতরণ প্রক্রিয়া আসলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক পরিকল্পনার অংশ। তাদের অভিযোগ, ‘রেড জোন’ দেখিয়ে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে না পারে।

এদিকে জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজার বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অপরদিকে ইসরাইল প্রতিদিনকার এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডকে ‘নিরাপত্তা হুমকি প্রতিহত করা’র নামে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে।

বেসামরিক মানুষের ওপর একের পর এক হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়লেও, কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে, যা সামনে আরও বড় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে।