ইরানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ‘আমাদের ধৈর্য্য ভাঙছে’, এরপর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ”

- আপডেট সময় ১১:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
- / 4
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ইরানকে সরাসরি সতর্ক করে লিখেছেন, “আমাদের ধৈর্য্য ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে।” এরপর আরেকটি পোস্টে স্পষ্টভাবে জানান, “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!”
একইসঙ্গে তিনি লেখেন, “আমরা জানি খামেনেই কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি খুব সহজ টার্গেট। তবে আমরা এই মুহূর্তে তাকে হত্যার কথা ভাবছি না। সাধারণ নাগরিকদের ওপরও কোনো মিসাইল হামলা হবে না।”
যদিও ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসন প্রকাশ্যে ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাত এড়ানোর কথা বলে আসছে, তবে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এরই অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে এবং মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, আগে মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ৪০ হাজারে পৌঁছেছে। একদিকে সামরিক প্রস্তুতি চললেও, অন্যদিকে আলোচনার পথও খোলা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। মূল লক্ষ্য ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা এবং শর্তহীনভাবে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা।
বিশ্লেষকদের মতে, শুধু পারমাণবিক কর্মসূচিই নয়, ইরানে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনাও হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উদ্দেশ্য। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চাচ্ছেন, ট্রাম্প যেন সরাসরি যুদ্ধে জড়ান এবং ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালান।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনার সম্ভাবনার খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। জানা গেছে, হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দূত উইটকফ বা ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে আলোচনায় পাঠানোর পরিকল্পনাও করছেন বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন ছেড়ে হঠাৎ দেশে ফিরে আসেন ট্রাম্প। দেশে ফিরেই তিনি তেহরানের প্রায় ৯৫ লাখ বাসিন্দাকে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তবে ট্রাম্পের সফরসঙ্গী এক সাংবাদিকের মতে, ট্রাম্প এখনো চান ইরানের পারমাণবিক ইস্যু শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক। যদিও বৈঠকের দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, এটিই হতে পারে যুদ্ধ এড়াতে তার শেষ কূটনৈতিক চেষ্টা।
সূত্র: বিবিসি