ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জিকে শামীম অর্থ পাচার মামলায় খালাস, বা ১০ বছরের সাজা বাতিল চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তার্কিশ এয়ারলাইন্সের মধ্যে ভ্রমণ সুবিধায় সমঝোতা স্মারক সাক্ষর ঝিনাইগাতীতে বাস পুকুরে উল্টে তিন মাসের শিশুর মৃত্যু, আহত অন্তত ২০ চালু হবে জাতীয় পুরস্কার,মাইলস্টোন শিক্ষক মেহরিন চৌধুরীর নামে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ড. ইউনূস দ্রুত চালু হবে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: বেবিচক চেয়ারম্যানের আশ্বাস হিরো আলমকে তালাক দিলেন রিয়া মনি নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন, তিন ক্রিকেটার ছিটকে

কঙ্গোর হ্রদে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল ৪০ জনের, নিখোঁজ বহু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

 

উত্তর-পশ্চিম কঙ্গোর ইকুয়েটুর প্রদেশের তুম্বা হ্রদে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার, তবে শুক্রবার প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্পিন এমপুতু মোলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তিনটি বড় নৌকা একসঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়ে। “আমরা এখন পর্যন্ত ৪০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি এবং বহু মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না,” বলেন মন্ত্রী এমপুতু।

স্থানীয় এক বাসিন্দা ডিউ-মার্সি আকুলা জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি, অন্তত ৫৪ জন। দুর্ঘটনার সময় নৌকায় ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল, যারা ইকোকো-বোঙ্গিন্দা গ্রামের এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিল এক মৃত মহিলার মরদেহও।

মন্ত্রী এমপুতু আরও জানান, নৌকাটিকে বিশাল ঢেউ আঘাত করে এবং চালকরা সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। প্রাথমিকভাবে এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে, তবে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “নৌকাটিতে কোনো যাত্রী তালিকা ছিল না, ফলে যাত্রীসংখ্যা অনুমান করাও কঠিন। এটি খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক একটি ঘটনা।”

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত, অব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতায় ভুগছে। দেশটির নদী ও হ্রদপথে নিয়মিত নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে, যার বেশিরভাগই অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে ঘটে থাকে।

তুম্বা হ্রদের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কঙ্গোর চলমান পরিবহন নিরাপত্তা সংকটকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলমান রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবীরা জীবিতদের খুঁজে পেতে হ্রদের বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কঙ্গোর হ্রদে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল ৪০ জনের, নিখোঁজ বহু

আপডেট সময় ০৩:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

উত্তর-পশ্চিম কঙ্গোর ইকুয়েটুর প্রদেশের তুম্বা হ্রদে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার, তবে শুক্রবার প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্পিন এমপুতু মোলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তিনটি বড় নৌকা একসঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়ে। “আমরা এখন পর্যন্ত ৪০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি এবং বহু মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না,” বলেন মন্ত্রী এমপুতু।

স্থানীয় এক বাসিন্দা ডিউ-মার্সি আকুলা জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি, অন্তত ৫৪ জন। দুর্ঘটনার সময় নৌকায় ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল, যারা ইকোকো-বোঙ্গিন্দা গ্রামের এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিল এক মৃত মহিলার মরদেহও।

মন্ত্রী এমপুতু আরও জানান, নৌকাটিকে বিশাল ঢেউ আঘাত করে এবং চালকরা সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। প্রাথমিকভাবে এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে, তবে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “নৌকাটিতে কোনো যাত্রী তালিকা ছিল না, ফলে যাত্রীসংখ্যা অনুমান করাও কঠিন। এটি খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক একটি ঘটনা।”

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত, অব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতায় ভুগছে। দেশটির নদী ও হ্রদপথে নিয়মিত নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে, যার বেশিরভাগই অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে ঘটে থাকে।

তুম্বা হ্রদের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কঙ্গোর চলমান পরিবহন নিরাপত্তা সংকটকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলমান রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবীরা জীবিতদের খুঁজে পেতে হ্রদের বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি