ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

ইসরাইল শান্তির উদ্যোগে বাধা দিচ্ছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইসরাইলের সরকার আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে শান্তির প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত ইসরাইলের চরমপন্থা ও অহংকারের প্রকাশ।

সোমবার (২ জুন) আম্মানে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জর্ডান, মিশর ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই আরব প্রতিনিধিদলটির লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে রামাল্লায় বৈঠক করা।

এর আগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, রোববারের পরিকল্পিত বৈঠকের অনুমতি দেওয়া হবে না। ওই বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা ছিল জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদের।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইসরাইলের এই অস্বীকৃতি তাদের চরমপন্থার প্রমাণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিরুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ করে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদিও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই সফরে বাধা দেওয়া মানে ন্যায্য আরব-ইসরাইলি সমঝোতার যেকোনো সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেওয়া।”

তবে, একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই আরব প্রতিনিধিরা একটি “উস্কানিমূলক বৈঠকে” অংশ নিতে চেয়েছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা।

এই প্রেক্ষাপটে, আগামী ১৭-২০ জুন নিউইয়র্কে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, যার যৌথ আয়োজক সৌদি আরব ও ফ্রান্স। সম্মেলনে গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী নিরাপত্তা কাঠামো, ফিলিস্তিনিদের ভূমিতে বসবাস নিশ্চিতকরণ এবং তাদের উচ্ছেদ ঠেকাতে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি।

ইসরাইলি আরব আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ বলেন, “এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বাড়ানো এবং একটি স্বতন্ত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সৌদি-ফরাসি জাতিসংঘ উদ্যোগকে সমর্থন করা।”

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরাইল শান্তির উদ্যোগে বাধা দিচ্ছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

ইসরাইলের সরকার আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে শান্তির প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত ইসরাইলের চরমপন্থা ও অহংকারের প্রকাশ।

সোমবার (২ জুন) আম্মানে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জর্ডান, মিশর ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই আরব প্রতিনিধিদলটির লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে রামাল্লায় বৈঠক করা।

এর আগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, রোববারের পরিকল্পিত বৈঠকের অনুমতি দেওয়া হবে না। ওই বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা ছিল জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদের।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইসরাইলের এই অস্বীকৃতি তাদের চরমপন্থার প্রমাণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিরুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ করে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদিও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই সফরে বাধা দেওয়া মানে ন্যায্য আরব-ইসরাইলি সমঝোতার যেকোনো সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেওয়া।”

তবে, একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই আরব প্রতিনিধিরা একটি “উস্কানিমূলক বৈঠকে” অংশ নিতে চেয়েছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা।

এই প্রেক্ষাপটে, আগামী ১৭-২০ জুন নিউইয়র্কে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, যার যৌথ আয়োজক সৌদি আরব ও ফ্রান্স। সম্মেলনে গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী নিরাপত্তা কাঠামো, ফিলিস্তিনিদের ভূমিতে বসবাস নিশ্চিতকরণ এবং তাদের উচ্ছেদ ঠেকাতে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি।

ইসরাইলি আরব আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ বলেন, “এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বাড়ানো এবং একটি স্বতন্ত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সৌদি-ফরাসি জাতিসংঘ উদ্যোগকে সমর্থন করা।”

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।