ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান সীমান্তে ধরা পড়লো তুরস্কের শীর্ষ আইএস নেতা, ভেস্তে গেল বড় হামলার ছক শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি

ভারতে ফের করোনার আঘাত, মৃত ৭, আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:১৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে এই মরণঘাতী ভাইরাস। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালায়। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৪৭ জনে। এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র (৪২৪ জন), দিল্লি (২৯৪ জন), গুজরাট (২২৩ জন), তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে (১৪৮ জন করে) এবং পশ্চিমবঙ্গে ১১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

উত্তর ভারতের দিকেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তর প্রদেশে ৪২ জন এবং পন্ডিচেরিতে ২৫ জনের শরীরে কোভিড শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব এবং একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। পাঞ্জাবের একজন বাদে বাকি সবাই ছিলেন বয়স্ক নাগরিক। মহারাষ্ট্র ও দিল্লির মৃত দু’জন আগে থেকেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, তবে পরবর্তীতে তাদের কোভিড সংক্রমণও ধরা পড়ে।

এদিকে ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর মহাপরিচালক ডা. রাজীব বাহল জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “নতুন রূপটি আপাতত হালকা প্রকৃতির হলেও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বিশেষ করে ক্যান্সার বা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তরা, তাদের বিশেষভাবে সাবধান হওয়া উচিত।”

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক দিনে আক্রান্তের যে হারে বৃদ্ধি ঘটেছে, তা করোনার নতুন ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগীর উপসর্গ মৃদু এবং হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন তুলনামূলকভাবে কম দেখা যাচ্ছে।

তবে স্বস্তির খবর হলো, আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম এবং হিমাচল প্রদেশে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরিধান করার মাধ্যমে ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে ফের করোনার আঘাত, মৃত ৭, আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার

আপডেট সময় ০৮:১৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে এই মরণঘাতী ভাইরাস। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালায়। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৪৭ জনে। এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র (৪২৪ জন), দিল্লি (২৯৪ জন), গুজরাট (২২৩ জন), তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে (১৪৮ জন করে) এবং পশ্চিমবঙ্গে ১১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

উত্তর ভারতের দিকেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তর প্রদেশে ৪২ জন এবং পন্ডিচেরিতে ২৫ জনের শরীরে কোভিড শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব এবং একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। পাঞ্জাবের একজন বাদে বাকি সবাই ছিলেন বয়স্ক নাগরিক। মহারাষ্ট্র ও দিল্লির মৃত দু’জন আগে থেকেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, তবে পরবর্তীতে তাদের কোভিড সংক্রমণও ধরা পড়ে।

এদিকে ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর মহাপরিচালক ডা. রাজীব বাহল জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “নতুন রূপটি আপাতত হালকা প্রকৃতির হলেও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বিশেষ করে ক্যান্সার বা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তরা, তাদের বিশেষভাবে সাবধান হওয়া উচিত।”

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক দিনে আক্রান্তের যে হারে বৃদ্ধি ঘটেছে, তা করোনার নতুন ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগীর উপসর্গ মৃদু এবং হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন তুলনামূলকভাবে কম দেখা যাচ্ছে।

তবে স্বস্তির খবর হলো, আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম এবং হিমাচল প্রদেশে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরিধান করার মাধ্যমে ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।