যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত পর্যায়ে ইসরাইল-হামাস আলোচনা, যেকোনো সময় আসতে পারে ঘোষণা: ট্রাম্প

- আপডেট সময় ১১:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / 7
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির একটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ট্রাম্প বলেন, “ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা ‘খুব কাছাকাছি’ পৌঁছে গেছেন। আমরা খুব শিগগিরই হয়তো আজই কিংবা আগামীকাল এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাব।”
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব তারা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে এবং গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২৮ জন ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে ১,২০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে একটি মানবিক বিরতির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তবে এসব আলোচনা চলার মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার গাজার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস, রাফা এবং গাজা সিটিতে একযোগে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে হামলায় একাধিক ব্যক্তি নিহত হন। খান ইউনিসে গোলাবর্ষণে প্রাণ হারায় এক শিশু এবং আহত হয় তার মা। গাজা সিটিতে একটি বেসামরিক গাড়িকে লক্ষ্য করে বিমান হামলায় নিহত হন কয়েকজন, যাদের মধ্যে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।
এদিকে, পশ্চিম তীরে নতুন করে আরও ৫ হাজার বসতি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। জর্ডান উপত্যকাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই বসতি সম্প্রসারণ হবে বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকাশ্য উদ্বেগ সত্ত্বেও এ নিয়ে কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়নি তারা।
অন্যদিকে, গাজার জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তা আটকে দিয়েছে ইসরাইলি বিক্ষোভকারীরা। কেরেম শালোম ক্রসিং পয়েন্টে তারা ‘কোনো খাদ্য নয়, শুধু জিম্মিদের মুক্তি চাই’ এমন ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেয়। ফলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ও ত্রাণ সরবরাহ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে।
যুদ্ধবিরতির আশার আলো জ্বললেও, বাস্তব পরিস্থিতি এখনো রক্তাক্ত ও অনিশ্চিত। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মধ্যেও গাজায় মানবিক সংকট দিন দিন গভীরতর হচ্ছে।