ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান: রেলপথ উন্নয়নে বড় সহায়তা শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা বৃষ্টির বাধা মানছে না কোরবানির হাট, জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা দেশে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেকর্ড গতি, ১০ মাসেই শোধ ৩৫০ কোটি ডলার দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল গণতন্ত্র পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের বিধ্বস্ত, নিহত ৪ নতুন ধানের জাত ‘জিএইউ ধান-৩ উদ্ভাবন করল গাকৃবি নৌ পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে আটক ৪০১, উদ্ধার ৭টি মৃতদেহ

বিদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসানীতির ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুক্তরাষ্ট্র এমন এক নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে, যা মার্কিন নাগরিকদের অনলাইন মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপকারী বিদেশি নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যদি কোনো বিদেশি সরকার বা কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্ট নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বা কনটেন্ট মুছতে বলেন, তবে তাদের আর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়া হবে না।

এই নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি ইউরোপের কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এসব প্ল্যাটফর্মে সেন্সরশিপ আরোপের অভিযোগ এনে, ট্রাম্প প্রশাসন বারবার ইউরোপীয় দেশগুলোকে সমালোচনা করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে এই ভিসা নীতিকে ‘ডিজিটাল সেন্সরশিপ’-এর বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যদি অনলাইনে কোনো মত প্রকাশ করেন এবং তা কোনো বিদেশি সরকারের অপছন্দ হয়, তাহলেও তারা সে কারণে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। একইসাথে, মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর উপর সেন্সরশিপ চাপিয়ে দেয়ার অধিকারও তাদের নেই।”

তবে কোন কোন দেশের নাগরিকদের এই নীতির আওতায় আনা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি রুবিও। অতীতে জার্মানি, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সেন্সরশিপের অভিযোগ তুলেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গত মঙ্গলবার (২৭ মে) ইউরোপকে ‘সেন্সরশিপের ঘাঁটি’ হিসেবে উল্লেখ করে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “গণতন্ত্রের নামে ইউরোপে মতপ্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ চালানো হচ্ছে।”

এই নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থান বলে মনে করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন এটি মূলত রাজনৈতিক কৌশল।

এর আগে, শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসানীতির ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০১:০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

 

যুক্তরাষ্ট্র এমন এক নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে, যা মার্কিন নাগরিকদের অনলাইন মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপকারী বিদেশি নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যদি কোনো বিদেশি সরকার বা কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্ট নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বা কনটেন্ট মুছতে বলেন, তবে তাদের আর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়া হবে না।

এই নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি ইউরোপের কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এসব প্ল্যাটফর্মে সেন্সরশিপ আরোপের অভিযোগ এনে, ট্রাম্প প্রশাসন বারবার ইউরোপীয় দেশগুলোকে সমালোচনা করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে এই ভিসা নীতিকে ‘ডিজিটাল সেন্সরশিপ’-এর বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যদি অনলাইনে কোনো মত প্রকাশ করেন এবং তা কোনো বিদেশি সরকারের অপছন্দ হয়, তাহলেও তারা সে কারণে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। একইসাথে, মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর উপর সেন্সরশিপ চাপিয়ে দেয়ার অধিকারও তাদের নেই।”

তবে কোন কোন দেশের নাগরিকদের এই নীতির আওতায় আনা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি রুবিও। অতীতে জার্মানি, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সেন্সরশিপের অভিযোগ তুলেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গত মঙ্গলবার (২৭ মে) ইউরোপকে ‘সেন্সরশিপের ঘাঁটি’ হিসেবে উল্লেখ করে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “গণতন্ত্রের নামে ইউরোপে মতপ্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ চালানো হচ্ছে।”

এই নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থান বলে মনে করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন এটি মূলত রাজনৈতিক কৌশল।

এর আগে, শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।