০৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক বন্দুক হামলায় ২ জন নিহত, আহত অন্তত ১২

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক দুটি বন্দুক হামলায় ২ জন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ও রোববার (২৫ মে) রাতে সাউথ ক্যারোলাইনায় এসব ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলেসে শনিবার সন্ধ্যায় ফ্লোরেন্স এভিনিউয়ের কাছাকাছি গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদের মধ্যে দু’জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

হামলার পরপরই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এ সময় দুটি পৃথক স্থান থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এখনো হামলার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও প্রকৃত হামলাকারী সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এদিকে, রোববার রাতে সাউথ ক্যারোলাইনার লিটল রিভার শহরের একটি আবাসিক এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১১ জন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, এক ব্যক্তি এলাকা জুড়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গোলাগুলির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। তবে হামলার পরপরই অস্ত্রধারী পালিয়ে যায়। হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ, তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

নানা পদক্ষেপের পরও যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিতভাবে বন্দুক সহিংসতা বেড়েই চলেছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করলেও বন্দুক হামলার প্রবণতা কমছে না। এতে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্র আইন কঠোর না হওয়ায় এবং অস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। সমাজে এর প্রভাব পড়ছে গভীরভাবে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এমন উদ্বেগও প্রকাশ করছেন অনেকে। নতুন করে এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক বন্দুক হামলায় ২ জন নিহত, আহত অন্তত ১২

আপডেট সময় ০৭:১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক দুটি বন্দুক হামলায় ২ জন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ও রোববার (২৫ মে) রাতে সাউথ ক্যারোলাইনায় এসব ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলেসে শনিবার সন্ধ্যায় ফ্লোরেন্স এভিনিউয়ের কাছাকাছি গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদের মধ্যে দু’জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

হামলার পরপরই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এ সময় দুটি পৃথক স্থান থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এখনো হামলার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও প্রকৃত হামলাকারী সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এদিকে, রোববার রাতে সাউথ ক্যারোলাইনার লিটল রিভার শহরের একটি আবাসিক এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১১ জন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, এক ব্যক্তি এলাকা জুড়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গোলাগুলির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। তবে হামলার পরপরই অস্ত্রধারী পালিয়ে যায়। হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ, তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

নানা পদক্ষেপের পরও যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিতভাবে বন্দুক সহিংসতা বেড়েই চলেছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করলেও বন্দুক হামলার প্রবণতা কমছে না। এতে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্র আইন কঠোর না হওয়ায় এবং অস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। সমাজে এর প্রভাব পড়ছে গভীরভাবে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এমন উদ্বেগও প্রকাশ করছেন অনেকে। নতুন করে এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।