ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

সিরিয়ার ওপর সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প প্রশাসন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

সিরিয়ার ওপর থেকে সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ঘোষণার পরপরই শুক্রবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় সিরিয়ার জন্য একটি সাধারণ লাইসেন্স জারি করে, যা সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের অনুমতি দেয়।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, “সিরিয়াকে এখন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল একটি রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য আরও কাজ করে যেতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপ দেশটির জন্য একটি উজ্জ্বল, সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে।”

শনিবার সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একে “মানবিক ও অর্থনৈতিক দুর্ভোগ লাঘবে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি” হিসেবে উল্লেখ করে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরব সফরে গিয়ে রিয়াদে ট্রাম্প জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এই ঘোষণার পরদিনই ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০০০ সালের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও সিরিয়ান শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হলো। ট্রাম্প আল-শারাকে “তরুণ, আকর্ষণীয় এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের অধিকারী” হিসেবে উল্লেখ করেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই শিথিলকরণ কোনোভাবেই রাশিয়া, ইরান বা উত্তর কোরিয়াকে উপকৃত করবে না। বরং এটি সিরিয়ার অর্থনীতি, ব্যাংক খাত এবং অবকাঠামো পুনর্গঠনে সহায়ক হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

নতুন এই লাইসেন্স সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে ‘সিজার আইন’ অনুসারে স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকেও একটি ছাড়পত্র দেওয়া হবে, যা বিদেশি মিত্রদের জন্য সিরিয়ার বাজার আরও উন্মুক্ত করবে।

ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, “আসাদ সরকারের বর্বর শাসনের যুগ পেরিয়ে সিরিয়া এখন এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকা, সন্ত্রাসবাদে না জড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র নজরদারিতে রাখবে।”

সূত্র: আল আরাবিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ার ওপর সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প প্রশাসন

আপডেট সময় ১২:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

সিরিয়ার ওপর থেকে সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ঘোষণার পরপরই শুক্রবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় সিরিয়ার জন্য একটি সাধারণ লাইসেন্স জারি করে, যা সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের অনুমতি দেয়।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, “সিরিয়াকে এখন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল একটি রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য আরও কাজ করে যেতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপ দেশটির জন্য একটি উজ্জ্বল, সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে।”

শনিবার সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একে “মানবিক ও অর্থনৈতিক দুর্ভোগ লাঘবে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি” হিসেবে উল্লেখ করে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরব সফরে গিয়ে রিয়াদে ট্রাম্প জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এই ঘোষণার পরদিনই ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০০০ সালের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও সিরিয়ান শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হলো। ট্রাম্প আল-শারাকে “তরুণ, আকর্ষণীয় এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের অধিকারী” হিসেবে উল্লেখ করেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই শিথিলকরণ কোনোভাবেই রাশিয়া, ইরান বা উত্তর কোরিয়াকে উপকৃত করবে না। বরং এটি সিরিয়ার অর্থনীতি, ব্যাংক খাত এবং অবকাঠামো পুনর্গঠনে সহায়ক হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

নতুন এই লাইসেন্স সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে ‘সিজার আইন’ অনুসারে স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকেও একটি ছাড়পত্র দেওয়া হবে, যা বিদেশি মিত্রদের জন্য সিরিয়ার বাজার আরও উন্মুক্ত করবে।

ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, “আসাদ সরকারের বর্বর শাসনের যুগ পেরিয়ে সিরিয়া এখন এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকা, সন্ত্রাসবাদে না জড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র নজরদারিতে রাখবে।”

সূত্র: আল আরাবিয়া