পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ১২ ‘ভারতীয় প্রক্সি’ সন্ত্রাসী

- আপডেট সময় ১১:৫৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / 48
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে পৃথক অভিযানে ‘ভারতীয় সহায়তাপুষ্ট’ সন্ত্রাসী সংগঠনের অন্তত ১২ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এসব অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুই সদস্য।
আইএসপিআর জানায়, শনিবার ও রবিবার তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ)-এর বিরুদ্ধে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক অভিযান চালানো হয়।
প্রথম অভিযানটি হয় খাইবার পাখতুনখাওয়ার লাক্কি মারওয়াত জেলায়। সেখানে পাঁচজন ‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসী নিহত হয়। এরপর বান্নু জেলায় দ্বিতীয় অভিযানে আরও দুইজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়।
এছাড়াও, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বহর। সেনারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ঘটনাস্থলেই আরও দুইজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
এই সংঘর্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুই সদস্য শহীদ হন। তারা হলেন সৈনিক ফারহাদ আলি তুরি (২৯), যিনি কুররাম জেলার বাসিন্দা, এবং ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (৩২), যিনি কোহাট জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
আইএসপিআর জানায়, অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।
প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলগুলোতে এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে, যাতে কোনো লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসী থাকলে তাকে খুঁজে বের করে নির্মূল করা যায়।
আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতের সহায়তা ও নির্দেশনায় পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। তবে আমাদের সাহসী সেনাদের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে। আমরা এই হুমকি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করব।”
এই ঘটনাগুলো সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির জটিলতা এবং ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বিরাজমান উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।