ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি: আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রযোজ্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মুরাদনগরে কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়: আসিফ মাহমুদ জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কমাতে পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষের আগেই উদ্যোগ: স্টারমার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে। অভিবাসনব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে এটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সরকারের প্রথম বড় উদ্যোগ।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, তার সরকারের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে উন্নয়নের গতি বাড়ানো। তিনি ‘উচ্চ অভিবাসন মানেই উচ্চ প্রবৃদ্ধি’—এই ধারনাকে প্রত্যাখ্যান করে জানান, “গত চার বছরে এই তত্ত্ব বাস্তবে পরীক্ষা করা হয়েছে, এবং প্রমাণ পাওয়া গেছে এটি সঠিক নয়।”

নতুন নীতিমালার আওতায় যারা যুক্তরাজ্যের নাগরিক হতে চান, তাদের আগে থেকে দ্বিগুণ সময় ধরে দেশটিতে অবস্থান করতে হবে। স্টারমার বলেন, “যুক্তরাজ্য দক্ষতা ও প্রশিক্ষণে যথাযথ বিনিয়োগ করেনি। এটি শুধু অভিবাসন নয়, বরং দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কেও একটি শ্বেতপত্র।”

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট করে জানাননি, প্রতি বছর নিট অভিবাসন হার কমবে কি না। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এই পার্লামেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিট অভিবাসন হ্রাস পাবে।

তবে তিনি মোট কতজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, সেই সংখ্যা নির্ধারণে কোনো সীমা আরোপের পক্ষে নন। এতে অভিবাসনে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিবাসন হ্রাসের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাজ্যকে ‘অচেনা মানুষের দ্বীপ’ হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করা। তার ভাষায়, “আমার পরিবর্তনের পরিকল্পনার অন্যতম মূল কৌশল হচ্ছে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে বেরিয়ে আসা।”

ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ের ‘নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার’-এর স্লোগানকে সামনে এনে তিনি জানান, “অভিবাসন নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা কী ছিল, তা সবাই জানে।”

স্টারমার অভিযোগ করেন, আগের সরকার ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে সেই সময়ে নিট অভিবাসন চার গুণ বেড়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের “অচেনা মানুষের দ্বীপ” মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা তীব্র হয়েছে। শরণার্থী সহায়তা সংস্থা কেয়ারফরকালেইস-এর প্রধান নির্বাহী স্টিভ স্মিথ এ মন্তব্যকে “ডানপন্থী উগ্রতাকে উসকে দেওয়ার মতো বিপজ্জনক ভাষা” হিসেবে আখ্যা দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

সূত্র: এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কমাতে পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষের আগেই উদ্যোগ: স্টারমার

আপডেট সময় ০৯:৫২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে। অভিবাসনব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে এটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সরকারের প্রথম বড় উদ্যোগ।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, তার সরকারের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে উন্নয়নের গতি বাড়ানো। তিনি ‘উচ্চ অভিবাসন মানেই উচ্চ প্রবৃদ্ধি’—এই ধারনাকে প্রত্যাখ্যান করে জানান, “গত চার বছরে এই তত্ত্ব বাস্তবে পরীক্ষা করা হয়েছে, এবং প্রমাণ পাওয়া গেছে এটি সঠিক নয়।”

নতুন নীতিমালার আওতায় যারা যুক্তরাজ্যের নাগরিক হতে চান, তাদের আগে থেকে দ্বিগুণ সময় ধরে দেশটিতে অবস্থান করতে হবে। স্টারমার বলেন, “যুক্তরাজ্য দক্ষতা ও প্রশিক্ষণে যথাযথ বিনিয়োগ করেনি। এটি শুধু অভিবাসন নয়, বরং দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কেও একটি শ্বেতপত্র।”

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট করে জানাননি, প্রতি বছর নিট অভিবাসন হার কমবে কি না। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এই পার্লামেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিট অভিবাসন হ্রাস পাবে।

তবে তিনি মোট কতজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, সেই সংখ্যা নির্ধারণে কোনো সীমা আরোপের পক্ষে নন। এতে অভিবাসনে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিবাসন হ্রাসের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাজ্যকে ‘অচেনা মানুষের দ্বীপ’ হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করা। তার ভাষায়, “আমার পরিবর্তনের পরিকল্পনার অন্যতম মূল কৌশল হচ্ছে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে বেরিয়ে আসা।”

ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ের ‘নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার’-এর স্লোগানকে সামনে এনে তিনি জানান, “অভিবাসন নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা কী ছিল, তা সবাই জানে।”

স্টারমার অভিযোগ করেন, আগের সরকার ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে সেই সময়ে নিট অভিবাসন চার গুণ বেড়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের “অচেনা মানুষের দ্বীপ” মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা তীব্র হয়েছে। শরণার্থী সহায়তা সংস্থা কেয়ারফরকালেইস-এর প্রধান নির্বাহী স্টিভ স্মিথ এ মন্তব্যকে “ডানপন্থী উগ্রতাকে উসকে দেওয়ার মতো বিপজ্জনক ভাষা” হিসেবে আখ্যা দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

সূত্র: এনডিটিভি