ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

বাংলাদেশ-মিয়ানমার করিডরে চীনের সম্পৃক্ততা নেই: চীনা রাষ্ট্রদূত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী করিডর প্রকল্পে চীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, এই উদ্যোগটি মূলত জাতিসংঘের, এবং এতে চীনের কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত জানান, তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। তবে এই প্রকল্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশই। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, প্রকল্পটি শিগগিরই শুরু হবে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নিয়েও বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে উভয় দেশের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে দুই দেশকেই আহ্বান জানান তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন। চীনের দৃষ্টিতে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার টেকসই সমাধানে পৌঁছাতে পারে। তিনি আশ্বস্ত করেন, চীন এ বিষয়ে সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংস্কার প্রচেষ্টায় চীন সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় পাশে থাকবে।

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে উঠে আসে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ, আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার গুরুত্ব, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা। তিস্তা প্রকল্প হোক কিংবা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন—সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে চীন।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এ আলোচনায় দুই দেশের কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সহযোগিতার পথও চিহ্নিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-মিয়ানমার করিডরে চীনের সম্পৃক্ততা নেই: চীনা রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় ০৪:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী করিডর প্রকল্পে চীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, এই উদ্যোগটি মূলত জাতিসংঘের, এবং এতে চীনের কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত জানান, তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। তবে এই প্রকল্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশই। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, প্রকল্পটি শিগগিরই শুরু হবে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নিয়েও বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে উভয় দেশের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে দুই দেশকেই আহ্বান জানান তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন। চীনের দৃষ্টিতে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার টেকসই সমাধানে পৌঁছাতে পারে। তিনি আশ্বস্ত করেন, চীন এ বিষয়ে সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংস্কার প্রচেষ্টায় চীন সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় পাশে থাকবে।

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে উঠে আসে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ, আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার গুরুত্ব, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা। তিস্তা প্রকল্প হোক কিংবা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন—সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে চীন।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এ আলোচনায় দুই দেশের কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সহযোগিতার পথও চিহ্নিত করেন।