ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ পাইলট নিহত, আহত আরও ৭ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০ চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর গুলি, শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পিসহ গ্রেপ্তার ৩

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা পাশে থাকবে চীন: চীনা রাষ্ট্রদূত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 23

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনা নিরসনে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংকটময় মুহূর্তে চীন সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। শান্ত পরিবেশ বজায় রাখাই এখন সময়ের দাবি।” ইয়াও ওয়েন জানান, চীন সবসময়ই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভারসাম্য ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে।

অনুষ্ঠানে তিনি আরও জানান, চলতি মাসের শেষ দিকে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শতাধিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীর একটি বৃহৎ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবেন। তাঁর ভাষায়, “বাংলাদেশে অতীতে এত বড় বাণিজ্য প্রতিনিধি দল কখনও আসেনি।” তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, “অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। কোনো দেশেই উন্নয়ন সম্ভব নয় স্থিতিশীলতা ছাড়া।” বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কার সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমাদের প্রকাশ্য মন্তব্যের প্রবণতা নেই, যেমনটা পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যায়।”

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে কেবল কৌশলগত অংশীদার হিসেবেই নয়, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখে। তিনি জানান, আগামীতেও এ বন্ধন আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে চীন কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তারা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছরের পথচলার নানা দিক তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা পাশে থাকবে চীন: চীনা রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় ০৩:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনা নিরসনে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংকটময় মুহূর্তে চীন সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। শান্ত পরিবেশ বজায় রাখাই এখন সময়ের দাবি।” ইয়াও ওয়েন জানান, চীন সবসময়ই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভারসাম্য ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে।

অনুষ্ঠানে তিনি আরও জানান, চলতি মাসের শেষ দিকে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শতাধিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীর একটি বৃহৎ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবেন। তাঁর ভাষায়, “বাংলাদেশে অতীতে এত বড় বাণিজ্য প্রতিনিধি দল কখনও আসেনি।” তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, “অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। কোনো দেশেই উন্নয়ন সম্ভব নয় স্থিতিশীলতা ছাড়া।” বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কার সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমাদের প্রকাশ্য মন্তব্যের প্রবণতা নেই, যেমনটা পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যায়।”

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে কেবল কৌশলগত অংশীদার হিসেবেই নয়, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখে। তিনি জানান, আগামীতেও এ বন্ধন আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে চীন কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তারা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছরের পথচলার নানা দিক তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।