ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় মানবিক বিপর্যয়: হামলায় ৮৩ নিহত, দুর্ভিক্ষে মৃত্যু বাড়ছে বাড়ি ফেরা হলো না, প্রবাসীকে আনতে গিয়ে সড়কে ঝরলো ৭ প্রাণ জাতীয় নির্বাচন ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেন পরিকল্পিতভাবে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়: দাবি রুশ গোয়েন্দা সংস্থার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন প্রধান উপদেষ্টা, শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে তিনদিনব্যাপী আয়োজন ছাত্রশিবিরের খাগড়াছড়িতে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১ ৫ আগস্ট ইতিহাস কথা বলে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগই হবে আগামীর বাংলাদেশ রুপরেখা : ড. ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ

‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়’: ট্রাম্পকে মার্ক কার্নির স্পষ্ট বার্তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 50

ছবি: সংগৃহীত

 

ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে আলোচনায় আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর আগ্রহের কথা জানান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, ট্রাম্পের এই মন্তব্যে আলোচনায় উত্তেজনার সঞ্চার হয়। এসময় মার্ক কারনি স্পষ্ট ভাষায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানিয়ে দিয়েছেন ‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়।’

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে একজন ‘রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “দুই দেশকে একসঙ্গে দেখলে মনে হয়, এ দুটি এক হওয়ার কথা ছিল।”

তবে তার এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে একটুও দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী কার্নি। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “আপনি তো রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী, নিশ্চয় জানেন কিছু জায়গা কখনও বিক্রি হয় না। বাকিংহ্যাম প্যালেস কিংবা ওভাল অফিসের মতো কানাডাও সেই রকম একটি জায়গা।”

জবাবে ট্রাম্প হেসে বলেন, “কখনও না বলবেন না। সব সময়ই একটা পথ থাকে।”

বৈঠকে আরও উঠে আসে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা। ট্রাম্প জানান, তিনি কানাডা থেকে গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক কমাতে রাজি নন। “আমরা আমাদের নিজেদের গাড়ি বানাতে চাই,”—সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফেন্টানল’ নামক মারাত্মক মাদকের প্রবাহ ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, “আলোচনায় উত্থান-পতন থাকবেই, কিন্তু আলোচনা হওয়াটাই ইতিবাচক।” তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে ভবিষ্যতেও আলোচনা চলবে, যদিও এর ফলাফল এখনই বলা যাচ্ছে না।

তবে কার্নি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “ট্রাম্প যেন কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ বানানোর মতো কথা বলা থেকে বিরত থাকেন। কারণ, ইচ্ছা আর বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য থাকা জরুরি। আমরা দুটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, এবং আলোচনাও স্বাধীনভাবে হওয়া উচিত।”

এই বৈঠক একদিকে যেমন কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে, অন্যদিকে ট্রাম্পের কথায় কিছুটা বিতর্কও জন্ম দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়’: ট্রাম্পকে মার্ক কার্নির স্পষ্ট বার্তা

আপডেট সময় ১২:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে আলোচনায় আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর আগ্রহের কথা জানান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, ট্রাম্পের এই মন্তব্যে আলোচনায় উত্তেজনার সঞ্চার হয়। এসময় মার্ক কারনি স্পষ্ট ভাষায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানিয়ে দিয়েছেন ‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়।’

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে একজন ‘রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “দুই দেশকে একসঙ্গে দেখলে মনে হয়, এ দুটি এক হওয়ার কথা ছিল।”

তবে তার এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে একটুও দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী কার্নি। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “আপনি তো রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী, নিশ্চয় জানেন কিছু জায়গা কখনও বিক্রি হয় না। বাকিংহ্যাম প্যালেস কিংবা ওভাল অফিসের মতো কানাডাও সেই রকম একটি জায়গা।”

জবাবে ট্রাম্প হেসে বলেন, “কখনও না বলবেন না। সব সময়ই একটা পথ থাকে।”

বৈঠকে আরও উঠে আসে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা। ট্রাম্প জানান, তিনি কানাডা থেকে গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক কমাতে রাজি নন। “আমরা আমাদের নিজেদের গাড়ি বানাতে চাই,”—সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফেন্টানল’ নামক মারাত্মক মাদকের প্রবাহ ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, “আলোচনায় উত্থান-পতন থাকবেই, কিন্তু আলোচনা হওয়াটাই ইতিবাচক।” তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে ভবিষ্যতেও আলোচনা চলবে, যদিও এর ফলাফল এখনই বলা যাচ্ছে না।

তবে কার্নি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “ট্রাম্প যেন কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ বানানোর মতো কথা বলা থেকে বিরত থাকেন। কারণ, ইচ্ছা আর বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য থাকা জরুরি। আমরা দুটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, এবং আলোচনাও স্বাধীনভাবে হওয়া উচিত।”

এই বৈঠক একদিকে যেমন কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে, অন্যদিকে ট্রাম্পের কথায় কিছুটা বিতর্কও জন্ম দিয়েছে।