ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন, ছেলে আটক পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল

সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচনে টানা ১৪তম বার ক্ষমতায় পিএপি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। টানা ১৪তম বারের মতো বিজয়ের মাধ্যমে দেশটিতে তাদের ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের শাসন আরও সুদৃঢ় হলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার আগে থেকেই ক্ষমতায় থাকা দলটি এবারের নির্বাচনে সংসদের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টিতে জয়লাভ করেছে। ৩৩টি নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছে পিএপি। তবে বিরোধী দলগুলোর পারফরম্যান্স আগের বারের মতো আশাব্যঞ্জক ছিল না।

এবারের নির্বাচনকে পিএপির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কারণ, দীর্ঘদিনের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের ভেতরে অসন্তোষের ইঙ্গিত মিলছিল।

ঐতিহ্যগতভাবে সংসদের প্রায় ৯০ শতাংশ আসনে জয়ের রেকর্ড রয়েছে পিএপির। তবে এবার তাদের জন্য ভোটের শতাংশও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দলটি এবারের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। যা ২০২০ সালের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ ভোটের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

লরেন্স ওয়াং দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। পিএপির নেতৃত্বে তার প্রথম নির্বাচনে ভোটের হার তুলনামূলকভাবে কম থাকায় এবার তিনি একটি শক্তিশালী জনম্যান্ডেট চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্য পূরণ করে ওয়াং বৈশ্বিক বাণিজ্য সংঘাতের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুর শাসন করেছেন লি কুয়ান ইউয়ের পরিবার। তার ছেলে লি সিয়েন লুং দুই দশক প্রধানমন্ত্রী থাকার পর পদ ছেড়েছেন। এরপর ২০২৪ সালে দায়িত্ব নেন লরেন্স ওয়াং, যিনি এখন দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।

চলমান বৈশ্বিক মন্দা, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং আবাসন সংকট এখন ওয়াংয়ের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। রপ্তানিনির্ভর এই শহর-রাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক ও বাণিজ্য সংঘাত থেকে সুরক্ষা দিতে তাকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি মাত্র ২৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১০টি আসনে জয়ী হয়েছে, যা সিঙ্গাপুরে কোনো বিরোধী দলের সবচেয়ে ভালো ফলাফল হিসেবে ধরা হচ্ছে।

জয়ের পর ওয়াং বলেন, “আমরা জনগণের দেওয়া শক্তিশালী ম্যান্ডেটের জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা এই আস্থাকে সম্মান জানাবো এবং দায়িত্বের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করবো।”

নিউজটি শেয়ার করুন

সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচনে টানা ১৪তম বার ক্ষমতায় পিএপি

আপডেট সময় ১২:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। টানা ১৪তম বারের মতো বিজয়ের মাধ্যমে দেশটিতে তাদের ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের শাসন আরও সুদৃঢ় হলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার আগে থেকেই ক্ষমতায় থাকা দলটি এবারের নির্বাচনে সংসদের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টিতে জয়লাভ করেছে। ৩৩টি নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছে পিএপি। তবে বিরোধী দলগুলোর পারফরম্যান্স আগের বারের মতো আশাব্যঞ্জক ছিল না।

এবারের নির্বাচনকে পিএপির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কারণ, দীর্ঘদিনের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের ভেতরে অসন্তোষের ইঙ্গিত মিলছিল।

ঐতিহ্যগতভাবে সংসদের প্রায় ৯০ শতাংশ আসনে জয়ের রেকর্ড রয়েছে পিএপির। তবে এবার তাদের জন্য ভোটের শতাংশও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দলটি এবারের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। যা ২০২০ সালের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ ভোটের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

লরেন্স ওয়াং দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। পিএপির নেতৃত্বে তার প্রথম নির্বাচনে ভোটের হার তুলনামূলকভাবে কম থাকায় এবার তিনি একটি শক্তিশালী জনম্যান্ডেট চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্য পূরণ করে ওয়াং বৈশ্বিক বাণিজ্য সংঘাতের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুর শাসন করেছেন লি কুয়ান ইউয়ের পরিবার। তার ছেলে লি সিয়েন লুং দুই দশক প্রধানমন্ত্রী থাকার পর পদ ছেড়েছেন। এরপর ২০২৪ সালে দায়িত্ব নেন লরেন্স ওয়াং, যিনি এখন দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।

চলমান বৈশ্বিক মন্দা, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং আবাসন সংকট এখন ওয়াংয়ের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। রপ্তানিনির্ভর এই শহর-রাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক ও বাণিজ্য সংঘাত থেকে সুরক্ষা দিতে তাকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি মাত্র ২৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১০টি আসনে জয়ী হয়েছে, যা সিঙ্গাপুরে কোনো বিরোধী দলের সবচেয়ে ভালো ফলাফল হিসেবে ধরা হচ্ছে।

জয়ের পর ওয়াং বলেন, “আমরা জনগণের দেওয়া শক্তিশালী ম্যান্ডেটের জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা এই আস্থাকে সম্মান জানাবো এবং দায়িত্বের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করবো।”