ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

গাজায় ইসরায়েলি অবরোধে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে ৫৭ জনের মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ অবরোধের ফলে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। খাদ্য, পানি ও ওষুধবাহী মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলো সীমান্তেই আটকে রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার কারণে এসব সহায়তা এখনও গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি।

অন্যদিকে, শনিবার (৩ মে) ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় একদিনেই কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জন। তবে গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষের মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। তাই প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

মানবিক সহায়তার অপ্রবেশযোগ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তারা অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাগুলো বলছে, খাদ্য ও ওষুধ সংকট চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে একটি সমন্বিত হামলা চালায়, যেখানে ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি লোককে জিম্মি করে নেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন করে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গাজার মানুষ এখন মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। খাদ্যহীনতা, ওষুধের সংকট এবং নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিন কাটাচ্ছে লাখো নিরীহ মানুষ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এখন বড় প্রশ্ন এই অবরোধ ও সহিংসতা কবে থামবে?

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি অবরোধে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে ৫৭ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ অবরোধের ফলে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। খাদ্য, পানি ও ওষুধবাহী মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলো সীমান্তেই আটকে রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার কারণে এসব সহায়তা এখনও গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি।

অন্যদিকে, শনিবার (৩ মে) ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় একদিনেই কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জন। তবে গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষের মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। তাই প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

মানবিক সহায়তার অপ্রবেশযোগ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তারা অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাগুলো বলছে, খাদ্য ও ওষুধ সংকট চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে একটি সমন্বিত হামলা চালায়, যেখানে ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি লোককে জিম্মি করে নেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন করে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গাজার মানুষ এখন মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। খাদ্যহীনতা, ওষুধের সংকট এবং নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিন কাটাচ্ছে লাখো নিরীহ মানুষ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এখন বড় প্রশ্ন এই অবরোধ ও সহিংসতা কবে থামবে?