ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

গাজায় একদিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিস্তিন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় শনিবার একদিনেই কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ জনে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলুর পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪৯৫ জনে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ৭৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৭৫ জন। এ নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জনে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা অনেক আহত ও নিহত ব্যক্তির কাছে এখনও উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি। অবরুদ্ধ ও বিধ্বস্ত গাজায় উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে চিকিৎসাকর্মী ও মানবিক সহায়তাকারীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু হয়, যার পর থেকেই হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসামগ্রীর তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে এখনও পর্যন্ত সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

গাজাবাসীর দুর্দশা দিন দিন বাড়ছেই, আর বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে এক মানবিক সমাধানের আশায়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় একদিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯

আপডেট সময় ১০:৫৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

ফিলিস্তিন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় শনিবার একদিনেই কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ জনে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলুর পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪৯৫ জনে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ৭৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৭৫ জন। এ নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জনে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা অনেক আহত ও নিহত ব্যক্তির কাছে এখনও উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি। অবরুদ্ধ ও বিধ্বস্ত গাজায় উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে চিকিৎসাকর্মী ও মানবিক সহায়তাকারীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু হয়, যার পর থেকেই হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসামগ্রীর তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে এখনও পর্যন্ত সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

গাজাবাসীর দুর্দশা দিন দিন বাড়ছেই, আর বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে এক মানবিক সমাধানের আশায়।