০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, ২৪ ঘণ্টায় নিহত অন্তত ৪৩

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 61

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৭ জন। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই হামলা চলে দিনভর। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলের ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের একের পর এক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থাই গুরুতর। এ ছাড়া সাম্প্রতিক এ হামলার পর গাজায় এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জন মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক হতাহতের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

গেল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে ফিলিস্তিনে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার পরপরই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা চলে টানা ১৫ মাস।

যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও দুই মাসের মাথায় তা ভেঙে যায়। গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়ে মতবিরোধের জেরে ১৮ মার্চ থেকে আবারও নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

দ্বিতীয় দফার এই হামলায় মাত্র দেড় মাসের মধ্যে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজার তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ছয় হাজারের বেশি। হাসপাতালগুলোতে জায়গার অভাব, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটে আহতদের চিকিৎসাও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ক্রমাগত এই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল।

বিশ্ববাসীর কাছে গাজা যেন এখন এক মৃত্যু উপত্যকা যেখানে প্রতিদিনই ঝরে পড়ছে নিরীহ মানুষের রক্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, ২৪ ঘণ্টায় নিহত অন্তত ৪৩

আপডেট সময় ১০:৫৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৭ জন। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই হামলা চলে দিনভর। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলের ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের একের পর এক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থাই গুরুতর। এ ছাড়া সাম্প্রতিক এ হামলার পর গাজায় এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জন মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক হতাহতের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

গেল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে ফিলিস্তিনে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার পরপরই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা চলে টানা ১৫ মাস।

যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও দুই মাসের মাথায় তা ভেঙে যায়। গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়ে মতবিরোধের জেরে ১৮ মার্চ থেকে আবারও নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

দ্বিতীয় দফার এই হামলায় মাত্র দেড় মাসের মধ্যে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজার তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ছয় হাজারের বেশি। হাসপাতালগুলোতে জায়গার অভাব, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটে আহতদের চিকিৎসাও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ক্রমাগত এই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল।

বিশ্ববাসীর কাছে গাজা যেন এখন এক মৃত্যু উপত্যকা যেখানে প্রতিদিনই ঝরে পড়ছে নিরীহ মানুষের রক্ত।