ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়াল্টজকে সরিয়ে জাতীয় নিরাপত্তায় ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি: সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে মাইক ওয়াল্টজকে অপসারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই পদে সাময়িকভাবে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করবেন। অন্যদিকে মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করবেন ট্রাম্প। শুক্রবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ওয়াল্টজকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তার স্থলাভিষিক্ত হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, যিনি আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবেও তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।

বিবিসি বলছে, সংবেদনশীল সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা একটি চ্যাট গ্রুপে ভুল করে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করার জন্য ওয়াল্টজ সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর এটি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদের জন্য নিশ্চিতকরণ শুনানির সময় কার জন্য রাজনৈতিক বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

মূলত ফ্লোরিডার সাবেক এই কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়া প্রশাসনের প্রথম সিনিয়র কোনও সদস্য।

মূলত ওয়াল্টজের অপসারণের পেছনে মূল কারণ হিসেবে “সিগনালগেট” কেলেঙ্কারিকে দায়ী করা হচ্ছে, যেখানে তিনি ভুলবশত একটি সিগনাল গ্রুপ চ্যাটে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেন, যেখানে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। এই ঘটনার ফলে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং ওয়াল্টজের নেতৃত্ব নিয়েও সমালোচনা হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়াল্টজের প্রশংসা করে বলেন, “মাঠে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায়, কংগ্রেসে এবং আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে, মাইক ওয়াল্টজ আমাদের জাতির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমি জানি, তিনি তার নতুন ভূমিকায়ও একইভাবে কাজ করবেন।”

এদিকে ওয়াল্টজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। রুবিও বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ইউএসএআইডি এবং জাতীয় আর্কাইভের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্বও পালন করছেন, যা তাকে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্যে পরিণত করেছে।

উল্লেখ্য, ওয়াল্টজের আগে নিউইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল, কিন্তু হাউসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার জন্য তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়।

ওয়াল্টজের নতুন পদে যোগদানের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তবে, “সিগনালগেট” কেলেঙ্কারির কারণে তার মনোনয়ন প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়াল্টজকে সরিয়ে জাতীয় নিরাপত্তায় ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ১০:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে মাইক ওয়াল্টজকে অপসারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই পদে সাময়িকভাবে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করবেন। অন্যদিকে মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করবেন ট্রাম্প। শুক্রবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ওয়াল্টজকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তার স্থলাভিষিক্ত হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, যিনি আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবেও তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।

বিবিসি বলছে, সংবেদনশীল সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা একটি চ্যাট গ্রুপে ভুল করে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করার জন্য ওয়াল্টজ সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর এটি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদের জন্য নিশ্চিতকরণ শুনানির সময় কার জন্য রাজনৈতিক বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

মূলত ফ্লোরিডার সাবেক এই কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়া প্রশাসনের প্রথম সিনিয়র কোনও সদস্য।

মূলত ওয়াল্টজের অপসারণের পেছনে মূল কারণ হিসেবে “সিগনালগেট” কেলেঙ্কারিকে দায়ী করা হচ্ছে, যেখানে তিনি ভুলবশত একটি সিগনাল গ্রুপ চ্যাটে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেন, যেখানে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। এই ঘটনার ফলে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং ওয়াল্টজের নেতৃত্ব নিয়েও সমালোচনা হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়াল্টজের প্রশংসা করে বলেন, “মাঠে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায়, কংগ্রেসে এবং আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে, মাইক ওয়াল্টজ আমাদের জাতির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমি জানি, তিনি তার নতুন ভূমিকায়ও একইভাবে কাজ করবেন।”

এদিকে ওয়াল্টজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। রুবিও বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ইউএসএআইডি এবং জাতীয় আর্কাইভের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্বও পালন করছেন, যা তাকে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্যে পরিণত করেছে।

উল্লেখ্য, ওয়াল্টজের আগে নিউইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল, কিন্তু হাউসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার জন্য তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়।

ওয়াল্টজের নতুন পদে যোগদানের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তবে, “সিগনালগেট” কেলেঙ্কারির কারণে তার মনোনয়ন প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।