ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

বেলুচিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ১০ সন্ত্রাসী, উত্তপ্ত চোতির এলাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 57

ছবি: সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী প্রদেশ বেলুচিস্তানে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছে। কেচ ও জিয়ারাত জেলায় পরিচালিত এই অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ও মঙ্গলবার কেচ এবং জিয়ারাত জেলায় যৌথ অভিযান চালায় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে জিয়ারাতের সাত জন এবং কেচের তিন জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। নিহতরা ‘খারিজি’ গোষ্ঠীর সদস্য বলে উল্লেখ করেছে আইএসপিআর, যারা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল।

আইএসপিআর জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমন এবং দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করার লড়াই অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানানো হয়।

ডনের সঙ্গে আলাপে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, কেচ জেলার অভিযান তুলনামূলকভাবে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও জিয়ারাত জেলার চোতির এলাকায় চালানো অভিযান ছিল অত্যন্ত কঠিন ও দীর্ঘস্থায়ী। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর দিকে কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বলেও জানান তিনি।

বেলুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জন্য স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রদেশটিতে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়মিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে হামলার তীব্রতা বেড়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অভিযান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করলেও, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলুচিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ১০ সন্ত্রাসী, উত্তপ্ত চোতির এলাকা

আপডেট সময় ০৬:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী প্রদেশ বেলুচিস্তানে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছে। কেচ ও জিয়ারাত জেলায় পরিচালিত এই অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ও মঙ্গলবার কেচ এবং জিয়ারাত জেলায় যৌথ অভিযান চালায় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে জিয়ারাতের সাত জন এবং কেচের তিন জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। নিহতরা ‘খারিজি’ গোষ্ঠীর সদস্য বলে উল্লেখ করেছে আইএসপিআর, যারা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল।

আইএসপিআর জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমন এবং দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করার লড়াই অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানানো হয়।

ডনের সঙ্গে আলাপে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, কেচ জেলার অভিযান তুলনামূলকভাবে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও জিয়ারাত জেলার চোতির এলাকায় চালানো অভিযান ছিল অত্যন্ত কঠিন ও দীর্ঘস্থায়ী। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর দিকে কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বলেও জানান তিনি।

বেলুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জন্য স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রদেশটিতে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়মিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে হামলার তীব্রতা বেড়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অভিযান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করলেও, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।