১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বিশ্বব্যাপী ঋণ সংকটের আশঙ্কা: হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেওয়ায় ঋণ সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দেশের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল জানিয়েছেন, গত এক বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ।

তিনি সতর্ক করে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে যদি প্রবৃদ্ধির গতি কমে, বাণিজ্যের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং সুদের হার উচ্চ পর্যায়ে স্থির থাকে, তাহলে বহু দেশ ঋণ সংকটে পড়বে। এমনকি যারা পণ্য রফতানিকারক দেশ বলেও পরিচিত, তারাও এই সংকটের বাইরে থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাপী এই ঝুঁকির পেছনে মূল কারণ হিসেবে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক মন্দার কথা উল্লেখ করেন। বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে, যা অনেক দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলেছে। ফলে, এসব দেশের জন্য ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা কমে গেছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার এই আশঙ্কাজনক প্রবণতা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তাদের বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা অনেক বেশি। ইন্দরমিত গিলের মতে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি খুবই জটিল। অনেক দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে, কিন্তু আয়ের উৎস কমে যাচ্ছে। বাণিজ্য যদি আরও কমে এবং সুদের হার যদি কমানো না হয়, তাহলে এই সমস্যা আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করবে।’’

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ মূলত পণ্য রফতানির ওপর নির্ভরশীল, তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ, বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে তাদের রফতানি আয় হ্রাস পাচ্ছে এবং ঋণ পরিশোধে তারা হিমশিম খাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে এই সতর্কবার্তা এমন সময় এলো, যখন অনেক দেশ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে ইন্দরমিত গিলের মতে, সঠিক নীতিমালা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বব্যাপী ঋণ সংকটের আশঙ্কা: হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ

আপডেট সময় ১১:২১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেওয়ায় ঋণ সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দেশের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল জানিয়েছেন, গত এক বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ।

তিনি সতর্ক করে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে যদি প্রবৃদ্ধির গতি কমে, বাণিজ্যের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং সুদের হার উচ্চ পর্যায়ে স্থির থাকে, তাহলে বহু দেশ ঋণ সংকটে পড়বে। এমনকি যারা পণ্য রফতানিকারক দেশ বলেও পরিচিত, তারাও এই সংকটের বাইরে থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাপী এই ঝুঁকির পেছনে মূল কারণ হিসেবে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক মন্দার কথা উল্লেখ করেন। বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে, যা অনেক দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলেছে। ফলে, এসব দেশের জন্য ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা কমে গেছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার এই আশঙ্কাজনক প্রবণতা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তাদের বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা অনেক বেশি। ইন্দরমিত গিলের মতে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি খুবই জটিল। অনেক দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে, কিন্তু আয়ের উৎস কমে যাচ্ছে। বাণিজ্য যদি আরও কমে এবং সুদের হার যদি কমানো না হয়, তাহলে এই সমস্যা আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করবে।’’

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ মূলত পণ্য রফতানির ওপর নির্ভরশীল, তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ, বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে তাদের রফতানি আয় হ্রাস পাচ্ছে এবং ঋণ পরিশোধে তারা হিমশিম খাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে এই সতর্কবার্তা এমন সময় এলো, যখন অনেক দেশ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে ইন্দরমিত গিলের মতে, সঠিক নীতিমালা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।