ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 55

ছবি: সংগৃহীত

 

বেলুচিস্তানের ডুকি জেলার পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পাঁচ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শনিবার প্রাদেশিক পুলিশের কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠনের সদস্য এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনী, কয়লা খনির শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।

সিটিডি জানায়, ডুকির ভাবার পাহাড়ি অঞ্চলে এই অভিযানে সিটিডি ছাড়াও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা অংশ নেয়। সংঘর্ষটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে নিজেদের একটি ঘাঁটি তৈরি করেছিল এবং ডুকি ও জিয়ারাতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানায় নিরাপত্তা বাহিনী।

অভিযান শেষে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ডুকি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি এবং বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি এই সফল অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কঠোর পদক্ষেপের ফলে বেলুচিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে।

বেলুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান এ অঞ্চলে সন্ত্রাস দমন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করেছে। সরকার বলছে, বেলুচিস্তানে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে সন্ত্রাসীদের মনোবল ভেঙে দেবে এবং স্থানীয় জনগণের আস্থাও ফিরিয়ে আনবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত

আপডেট সময় ০৬:০৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

বেলুচিস্তানের ডুকি জেলার পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পাঁচ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শনিবার প্রাদেশিক পুলিশের কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠনের সদস্য এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনী, কয়লা খনির শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।

সিটিডি জানায়, ডুকির ভাবার পাহাড়ি অঞ্চলে এই অভিযানে সিটিডি ছাড়াও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা অংশ নেয়। সংঘর্ষটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে নিজেদের একটি ঘাঁটি তৈরি করেছিল এবং ডুকি ও জিয়ারাতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানায় নিরাপত্তা বাহিনী।

অভিযান শেষে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ডুকি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি এবং বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি এই সফল অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কঠোর পদক্ষেপের ফলে বেলুচিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে।

বেলুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান এ অঞ্চলে সন্ত্রাস দমন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করেছে। সরকার বলছে, বেলুচিস্তানে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে সন্ত্রাসীদের মনোবল ভেঙে দেবে এবং স্থানীয় জনগণের আস্থাও ফিরিয়ে আনবে।