ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

ফেডারেল তহবিল স্থগিতের প্রতিবাদে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ডের মামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ফেডারেল মামলা দায়ের করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির অভিযোগ, সরকার বেআইনিভাবে শত কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছে, যা তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) হার্ভার্ডের সভাপতি অ্যালান গার্বার এক বিবৃতিতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর আল জাজিরার।

গার্বার বলেন, ‘আমরা কিছুক্ষণ আগেই সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। কারণ এই তহবিল স্থগিতের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধানবিরোধী। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিকে আমরা অগ্রাহ্য করার পরপরই তারা একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ২.২ বিলিয়ন ডলারের গবেষণা তহবিল স্থগিত অন্যতম।’

তিনি আরও জানান, এই তহবিল স্থগিতের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্যান্সার, সংক্রামক রোগ এবং আহত সেনাদের ব্যথা উপশম সংক্রান্ত গবেষণাগুলো এখন অনিশ্চয়তায়।

হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত ৫১ পৃষ্ঠার মামলাটি ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল জেলা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংশোধনী এবং অন্যান্য ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপতির ‘স্থির আদেশ’কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং সরকারের তহবিল স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।

মামলায় যেসব সরকারি সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই তহবিল বন্ধ করার মাধ্যমে সরকার মূলত শিক্ষাব্যবস্থার ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে, যাতে তারা সরকারের অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ মেনে নিতে বাধ্য হয়।

হার্ভার্ড ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে এই উত্তেজনা ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আদালত এই মামলায় কী রায় দেয় এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ও ফেডারেল নীতিনির্ধারণে কতটা প্রভাব ফেলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেডারেল তহবিল স্থগিতের প্রতিবাদে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ডের মামলা

আপডেট সময় ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ফেডারেল মামলা দায়ের করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির অভিযোগ, সরকার বেআইনিভাবে শত কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছে, যা তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) হার্ভার্ডের সভাপতি অ্যালান গার্বার এক বিবৃতিতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর আল জাজিরার।

গার্বার বলেন, ‘আমরা কিছুক্ষণ আগেই সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। কারণ এই তহবিল স্থগিতের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধানবিরোধী। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিকে আমরা অগ্রাহ্য করার পরপরই তারা একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ২.২ বিলিয়ন ডলারের গবেষণা তহবিল স্থগিত অন্যতম।’

তিনি আরও জানান, এই তহবিল স্থগিতের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্যান্সার, সংক্রামক রোগ এবং আহত সেনাদের ব্যথা উপশম সংক্রান্ত গবেষণাগুলো এখন অনিশ্চয়তায়।

হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত ৫১ পৃষ্ঠার মামলাটি ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল জেলা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংশোধনী এবং অন্যান্য ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপতির ‘স্থির আদেশ’কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং সরকারের তহবিল স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।

মামলায় যেসব সরকারি সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই তহবিল বন্ধ করার মাধ্যমে সরকার মূলত শিক্ষাব্যবস্থার ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে, যাতে তারা সরকারের অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ মেনে নিতে বাধ্য হয়।

হার্ভার্ড ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে এই উত্তেজনা ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আদালত এই মামলায় কী রায় দেয় এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ও ফেডারেল নীতিনির্ধারণে কতটা প্রভাব ফেলবে।