০৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 76

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় আরও ২৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় চালানো এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, নতুন এ মৃত্যুর ঘটনায় গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ২৫ জনে।

২০২৫ সালের ১৮ মার্চ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হওয়ার পর থেকেই সহিংসতা বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ৬৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৩৯১ জন।

বিজ্ঞাপন

তবে যুদ্ধের সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে। ওই দিন থেকে শুরু হওয়া লাগাতার হামলায় এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ হাজার ২৫ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৩২ জন। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

এদিকে, মানবিক সহায়তা বন্ধ থাকায় গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, অপুষ্টি ও রোগবালাই ছড়িয়ে পড়েছে। ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে কোনো ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে।

গাজা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিন সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে প্রায় ৪ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এই বাস্তুচ্যুতির ফলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ ধরনের অবরোধ ও হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের শামিল। বিশ্বজুড়ে চলমান চাপ ও প্রতিবাদের পরও সহিংসতা থামার কোনো ইঙ্গিত নেই।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, যেখানে খাদ্য, ওষুধ ও পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় আরও ২৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় চালানো এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, নতুন এ মৃত্যুর ঘটনায় গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ২৫ জনে।

২০২৫ সালের ১৮ মার্চ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হওয়ার পর থেকেই সহিংসতা বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ৬৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৩৯১ জন।

বিজ্ঞাপন

তবে যুদ্ধের সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে। ওই দিন থেকে শুরু হওয়া লাগাতার হামলায় এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ হাজার ২৫ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৩২ জন। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

এদিকে, মানবিক সহায়তা বন্ধ থাকায় গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, অপুষ্টি ও রোগবালাই ছড়িয়ে পড়েছে। ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে কোনো ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে।

গাজা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিন সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে প্রায় ৪ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এই বাস্তুচ্যুতির ফলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ ধরনের অবরোধ ও হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের শামিল। বিশ্বজুড়ে চলমান চাপ ও প্রতিবাদের পরও সহিংসতা থামার কোনো ইঙ্গিত নেই।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, যেখানে খাদ্য, ওষুধ ও পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।