ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬ ২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ মারা গেলেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা

মালদ্বীপে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

মালদ্বীপ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী কোনো ব্যক্তি আর দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা ও সংহতির প্রকাশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দেশটির প্রশাসন।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে। প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্যই নয়, বরং যাঁরা দ্বৈত নাগরিকত্ব বহন করেন এবং এর একটি অংশ ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট তাঁদের জন্যও এটি প্রযোজ্য হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলমান গাজা সংকটে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপের জনগণের আবেগ ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মালদ্বীপ সরকার বিশ্ববাসীকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তারা নীরব নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে মালদ্বীপের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। অনেকেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে মালদ্বীপে ইসরায়েলি পর্যটকদের প্রবেশে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলোর প্রতিবাদে মালদ্বীপে জনমত ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর বিমানবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পর্যটন ও ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিষয়টি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মালদ্বীপ সরকারের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মানবিক অবস্থান থেকে নেওয়া এমন সাহসী সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মালদ্বীপে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

আপডেট সময় ০৯:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

মালদ্বীপ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী কোনো ব্যক্তি আর দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা ও সংহতির প্রকাশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দেশটির প্রশাসন।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে। প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্যই নয়, বরং যাঁরা দ্বৈত নাগরিকত্ব বহন করেন এবং এর একটি অংশ ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট তাঁদের জন্যও এটি প্রযোজ্য হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলমান গাজা সংকটে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপের জনগণের আবেগ ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মালদ্বীপ সরকার বিশ্ববাসীকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তারা নীরব নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে মালদ্বীপের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। অনেকেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে মালদ্বীপে ইসরায়েলি পর্যটকদের প্রবেশে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলোর প্রতিবাদে মালদ্বীপে জনমত ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর বিমানবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পর্যটন ও ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিষয়টি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মালদ্বীপ সরকারের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মানবিক অবস্থান থেকে নেওয়া এমন সাহসী সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।