ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

ক্ষমতায় ফেরার পর গাজা উপত্যকা নিয়ে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে গাজা নিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তর নিয়ে দেওয়া বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সমালোচনা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকটি কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়। ইরান ইস্যু, গাজায় যুদ্ধবিরতি বা বন্দি বিনিময় সম্পর্কেও ছিল না কোনও প্রকাশ্য চুক্তি।

তবে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পাঠানোর ইঙ্গিত। বৈঠকে ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন, “ইসরাইল কেন শুরুতেই গাজা ছেড়ে দিয়েছিল?” এরপর তিনি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়, সেটি খুবই ভালো হবে।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেকেই বলছেন, এ ধরনের পরিকল্পনা কার্যকর হলে তা হতে পারে ‘জাতিগত নির্মূল’-এর সামিল।

অন্যদিকে, নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তিনি নাকি ইতোমধ্যেই কয়েকটি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর বিষয়ে কথোপকথন করেছেন। যদিও তিনি সেই দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি।

আল জাজিরা আরও জানায়, গাজার সাধারণ মানুষ নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়তে চান না। তারা শান্তি ও যুদ্ধের অবসান চান, কিন্তু জোরপূর্বক বিতাড়ন নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ইসরাইলের অভ্যন্তরেও নানা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে। বিশেষ করে যখন গাজা নিয়ে যুদ্ধ চলছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন মানবিক সংকট মোকাবেলায় উদ্বিগ্ন, তখন এই ধরনের প্রস্তাব পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে পারে।

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের এই অবস্থান ভবিষ্যতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে এই মন্তব্যকে অনেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রাথমিক বার্তা হিসেবেও দেখছেন। বিশ্ব সম্প্রদায় এই ইস্যুতে এখন আরও স্পষ্ট অবস্থান দাবি করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

আপডেট সময় ০৫:০৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

ক্ষমতায় ফেরার পর গাজা উপত্যকা নিয়ে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে গাজা নিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তর নিয়ে দেওয়া বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সমালোচনা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকটি কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়। ইরান ইস্যু, গাজায় যুদ্ধবিরতি বা বন্দি বিনিময় সম্পর্কেও ছিল না কোনও প্রকাশ্য চুক্তি।

তবে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পাঠানোর ইঙ্গিত। বৈঠকে ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন, “ইসরাইল কেন শুরুতেই গাজা ছেড়ে দিয়েছিল?” এরপর তিনি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়, সেটি খুবই ভালো হবে।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেকেই বলছেন, এ ধরনের পরিকল্পনা কার্যকর হলে তা হতে পারে ‘জাতিগত নির্মূল’-এর সামিল।

অন্যদিকে, নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তিনি নাকি ইতোমধ্যেই কয়েকটি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর বিষয়ে কথোপকথন করেছেন। যদিও তিনি সেই দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি।

আল জাজিরা আরও জানায়, গাজার সাধারণ মানুষ নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়তে চান না। তারা শান্তি ও যুদ্ধের অবসান চান, কিন্তু জোরপূর্বক বিতাড়ন নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ইসরাইলের অভ্যন্তরেও নানা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে। বিশেষ করে যখন গাজা নিয়ে যুদ্ধ চলছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন মানবিক সংকট মোকাবেলায় উদ্বিগ্ন, তখন এই ধরনের প্রস্তাব পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে পারে।

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের এই অবস্থান ভবিষ্যতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে এই মন্তব্যকে অনেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রাথমিক বার্তা হিসেবেও দেখছেন। বিশ্ব সম্প্রদায় এই ইস্যুতে এখন আরও স্পষ্ট অবস্থান দাবি করছে।