০৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানল: মৃত্যু বেড়ে ১৮, বিপর্যয়ের মুখে হাজারো মানুষ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 104

ছবি সংগৃহীত

 

দক্ষিণ কোরিয়া এখন এক ভয়াবহ দাবানলের কবলে। আগুনে ঝলসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, বনাঞ্চল, এমনকি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী এলাকাও। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু একে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে সর্বোচ্চ বিপর্যয় সতর্কতা জারি করেছে সরকার।

বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এই দাবানলে এখন পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ছয়জন, আর হালকা আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। রাজধানী সিওলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শুক্রবার হঠাৎ করেই একের পর এক ১২টিরও বেশি এলাকায় দাবানল শুরু হয়। খরা ও প্রবল শুষ্ক হাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রদেশে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রীয় ভাষণে হান ডাক-সু জানান, রাতভর আগুন দাউদাউ করে জ্বলেছে। বহু এলাকায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তা বন্ধ থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে। আগুন নেভাতে কয়েক হাজার দমকল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়েছে উদ্ধারকারী দল, কারণ প্রচণ্ড বেগে বইছে শুষ্ক হাওয়া।

হাজার হাজার মানুষকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, তাদের ত্রাণশিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং জরুরি খাদ্য, পোশাক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এই দাবানলের কবলে পড়েছে ইউনেস্কো স্বীকৃত ঐতিহ্যবাহী হাহয়ে ফোক ভিলেজও। ঐ গ্রামের ৭৯ বছর বয়সী বাসিন্দা কোন সো-হান বলেন, “মনে হলো, আগুন পাহাড় থেকে সোজা নেমে এল আমার বাড়ির ওপর। কিছুই সঙ্গে নিতে পারিনি, শুধু শরীরটা নিয়ে পালিয়ে এসেছি।”

আবহাওয়াবিদদের আশা, বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলেই দাবানল এত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

এই মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়া যেন এক ধোঁয়ায় মোড়া বিপর্যস্ত রাষ্ট্র। এখন একটাই প্রার্থনা বৃষ্টি হোক, আগুন থামুক।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানল: মৃত্যু বেড়ে ১৮, বিপর্যয়ের মুখে হাজারো মানুষ

আপডেট সময় ০৩:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

দক্ষিণ কোরিয়া এখন এক ভয়াবহ দাবানলের কবলে। আগুনে ঝলসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, বনাঞ্চল, এমনকি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী এলাকাও। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু একে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে সর্বোচ্চ বিপর্যয় সতর্কতা জারি করেছে সরকার।

বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এই দাবানলে এখন পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ছয়জন, আর হালকা আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। রাজধানী সিওলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শুক্রবার হঠাৎ করেই একের পর এক ১২টিরও বেশি এলাকায় দাবানল শুরু হয়। খরা ও প্রবল শুষ্ক হাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রদেশে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রীয় ভাষণে হান ডাক-সু জানান, রাতভর আগুন দাউদাউ করে জ্বলেছে। বহু এলাকায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তা বন্ধ থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে। আগুন নেভাতে কয়েক হাজার দমকল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়েছে উদ্ধারকারী দল, কারণ প্রচণ্ড বেগে বইছে শুষ্ক হাওয়া।

হাজার হাজার মানুষকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, তাদের ত্রাণশিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং জরুরি খাদ্য, পোশাক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এই দাবানলের কবলে পড়েছে ইউনেস্কো স্বীকৃত ঐতিহ্যবাহী হাহয়ে ফোক ভিলেজও। ঐ গ্রামের ৭৯ বছর বয়সী বাসিন্দা কোন সো-হান বলেন, “মনে হলো, আগুন পাহাড় থেকে সোজা নেমে এল আমার বাড়ির ওপর। কিছুই সঙ্গে নিতে পারিনি, শুধু শরীরটা নিয়ে পালিয়ে এসেছি।”

আবহাওয়াবিদদের আশা, বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলেই দাবানল এত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

এই মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়া যেন এক ধোঁয়ায় মোড়া বিপর্যস্ত রাষ্ট্র। এখন একটাই প্রার্থনা বৃষ্টি হোক, আগুন থামুক।