ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মতিঝিলে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, উদ্ধার তৎপরতা চলছে গাইবান্ধায় বজ্রপাতে এক কৃষকের গরুর মৃত্যু দুর্নীতি কমলে দেশ দ্রুত এগোবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি মমতাজ গাজার অধিবাসীদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডের নতুন নাম ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ’ সড়ক পুলিশের বাধার মুখে সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলের উন্নয়ন ও বিদেশে হচ্ছে রপ্তানি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ: আহত ২০, আতঙ্কে এলাকাবাসী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে বার্ষিক ওরশ চলাকালে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এতে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এ অভিযোগ করেছেন।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত সোয়া ১২টার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত ২টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন থেকেই প্রতি বছর দু’দিনব্যাপী ওরশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছরও ২৮তম ওরশ শুরু হয় শুক্রবার। তবে রাতেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক সমর্থক মাজারে উপস্থিত হয়ে ওরশ বন্ধের দাবি জানান। মাজার কর্তৃপক্ষ এতে সম্মতি না দিলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে মাজারে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন।

এতে হাজারো ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ ছোটাছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন সোলায়মান, রেজাউল, বাদল মৃধা, দুলাল মৃধা, আবু বকর, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. মামুন, আবুল কালাম, জোবায়ের ও ফজলুল করিম। তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘মাজারে হামলা চালিয়ে বৈঠকখানা ও সামিয়ানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভক্তদের মারধর করা হয়েছে এবং মাজারের দানবাক্স লুট করা হয়েছে।’ তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অপরদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদ বলেন, ‘রমজান মাসে মাজারে গান-বাজনা বন্ধের অনুরোধ করা হলে খাদেম তা মানতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তার ভক্তদের হামলার কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।’

ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ: আহত ২০, আতঙ্কে এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০১:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে বার্ষিক ওরশ চলাকালে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এতে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এ অভিযোগ করেছেন।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত সোয়া ১২টার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত ২টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন থেকেই প্রতি বছর দু’দিনব্যাপী ওরশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছরও ২৮তম ওরশ শুরু হয় শুক্রবার। তবে রাতেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক সমর্থক মাজারে উপস্থিত হয়ে ওরশ বন্ধের দাবি জানান। মাজার কর্তৃপক্ষ এতে সম্মতি না দিলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে মাজারে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন।

এতে হাজারো ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ ছোটাছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন সোলায়মান, রেজাউল, বাদল মৃধা, দুলাল মৃধা, আবু বকর, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. মামুন, আবুল কালাম, জোবায়ের ও ফজলুল করিম। তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘মাজারে হামলা চালিয়ে বৈঠকখানা ও সামিয়ানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভক্তদের মারধর করা হয়েছে এবং মাজারের দানবাক্স লুট করা হয়েছে।’ তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অপরদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদ বলেন, ‘রমজান মাসে মাজারে গান-বাজনা বন্ধের অনুরোধ করা হলে খাদেম তা মানতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তার ভক্তদের হামলার কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।’

ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’